গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধিত্বশীল সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এজন্য প্রয়োজন এক দফা আন্দোলন। এর মাধ্যমে বর্তমান সরকারকে সরাতে হবে। নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে। বিজয়ী দলকে গণতন্ত্র ও সুশাসন নিশ্চিত করার জন্য সুনির্দিষ্ট সংস্কারমূলক পদক্ষেপ গ্রহণের অঙ্গীকার করতে হবে।
শনিবার ( ২৩ এপ্রিল) এবি পার্টির উদ্যোগে ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পথ, পন্থা এবং পদক্ষেপ’ শীর্ষক এক মুক্ত সংলাপে রাজনীতিবিদরা এসব কথা বলেন।
বক্তারা আরও বলেন, ৯০ এর গণ-অভ্যুত্থানের আদলে সর্বস্তরের জনগণকে সম্পৃক্ত করে গণ-আন্দোলন গড়ে তুলে বর্তমান সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করতে হবে।
প্রফেসর ড. মাহবুব উল্লাহ বলেন, আন্দোলন ও নির্বাচনের পথ ও পন্থা নিয়ে আলোচনার শুরুতেই আমাদের নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে ভাবতে হবে। একটি দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন কোনভাবেই আর গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। গণ-আন্দোলন ব্যতিরেকে এ সরকারের পতন সম্ভব হবে বলে মনে হয় না। কাজেই বিরোধীদলগুলোকে ঐক্যমতে আসতে হবে সরকারের পতন আন্দোলনের বিষয়ে।
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, জাতির সামনে বর্তমান পরিস্থিতিকে সামনে রেখে রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ পরিষ্কার করতে হবে। আগামী নির্বাচন অবশ্যই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে হতে হবে এবং এ সরকারকে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করার পর্যাপ্ত সময় দিতে হবে।
গণ অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক রেজা কিবরিয়া বলেন, এই ফ্যাসিস্ট সরকারকে হটিয়ে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করতে হবে। এর মেয়াদ ৩-৪ মাস হলে হবে না। দলীয় লেজুড়বৃত্তিক প্রশাসনকে হটিয়ে একটি জনবান্ধন প্রশাসন থাকবে, যারা নিরপেক্ষ নির্বাচনে ভূমিকা রাখবে।
পার্টির আহ্বায়ক ও সাবেক সচিব এএফএম সোলায়মান চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মুক্ত আলোচনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন এবি পার্টির যুগ্ম আহবায়ক ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম। আরও বক্তব্য রাখেন প্রফেসর ড. দিলারা চৌধুরী, ডা. মোজাহেরুল হক, গৌতম দাস, ডা. মেজর (অব.) আব্দুল ওহাব মিনার, ড. সুকোমল বড়ুয়া প্রমুখ।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
test 2 ...
test ...
hi thi is test ...