বাংলাদেশ ব্যাংকের বেধে দেওয়া সুদহার শতভাগ মানতে পারবে না আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো, শঙ্কা ওই খাতের প্রধান নির্বাহীদের। বাংলাদেশ লিজিং এন্ড ফাইন্যান্স কোম্পানিজ এসোসিয়েশন বিএলএফসিএ চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম বলেছেন, মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশের বেশি এবং এটা বাড়ছে, কাজেই ৭ শতাংশ হারে সুদ দিয়ে ব্যাংকগুলোকেই আমানত নিতে হবে, সেখানে আর্থিক প্রতিষ্ঠান কিভাবে ঐ হারে আমানত পাবে, প্রশ্ন তার।
তারওপর ডুবতে বসা বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের কারণে পুরো খাতের প্রতি মানুষের আস্থারও ঘাটতি রয়েছে। এ অবস্থায় আমানতে ৭ শতাংশ আর ঋণের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১১ শতাংশ সুদহার ঠিক করে সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের করা প্রজ্ঞাপন পুনর্বিবেচনার দাবি তার।
১৮ই এপ্রিল সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভগের প্রজ্ঞাপনে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের আমানত এবং ঋণের সুদ হার বেঁধে দেওয়া হয়েছে। পয়লা জুলাই থেকে কার্যকর হলে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে আমানত নিতে হবে ৭শতাংশ সুদে, আর ঋণের সুদ হার হবে সর্বোচ্চ ১১ শতাংশ। অবশ্য ব্যাংকের ক্ষেত্রে ক্রেডিট কার্ড বাদে অন্য ঋণের সর্বোচ্চ হার চূড়ান্ত করা আছে ৯ শতাংশ। যদিও আমানত নেওয়ার ক্ষেত্রে কোনও উচ্চসীমা নেই।
এক্ষেত্রে গত আগস্টের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী মূল্যস্ফীতির হারের চেয়ে বেশি সুদহার দিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা আছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যংকের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম।
বাংলাদেশ লিজিং এন্ড ফাইন্যান্স কোম্পানিজ এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম বলছেন, কিছু প্রতিষ্ঠান চড়া সুদে ঋণ দিচ্ছে এটি সত্য, তবে ভালো রেটিং পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যাংকের মতো ৯ শতাংশ বা তারও কমে ঋণ দিচ্ছে।
ডেল্টা-ব্র্যাক হাউজিংয়ের প্রধান নির্বাহী নাাসিমুল বাতেন বলেছেন, ২৫ বছর ধরে গৃহায়ন ঋণ দিয়ে আসা প্রতিষ্ঠান ডেল্টা-ব্র্যাক হাউজিং এর প্রধান নির্বাহী বলেছেন, প্রজ্ঞাপনের পরও তারা গ্রাহকের সুবিধার কথা বিবেচনায় সুদ হার কোনোভাবেই ১১ শতাংশ করবেন না।
এই মুহূর্তে ৩৪টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান চালু রয়েছে।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
test 2 ...
test ...
hi thi is test ...