চীন থেকে নেওয়া ঋণের ফাঁদে পড়বে বাংলাদেশ- বিশেষজ্ঞদের এমন মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন আক্ষেপ করে বলেছেন, আমরা চীন থেকেও বেশি ঋণ জাপান থেকে নেই, অথচ এটা কেউ বলে না।
মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) মন্ত্রণালয়ে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের ঢাকা সফর নিয়ে সাংবাদিকরা ড. মোমেনের মুখোমুখি হলে এক প্রশ্নের জবাবে এ আক্ষেপের কথা জানান।
ড. মোমেন বলেন, বাংলাদেশ ঋণ নিতে খুব সজাগ। যাচাই-বাছাই না করে প্রধানমন্ত্রী কোনো ঋণ নেন না। তিনি দেখেন, লাভ হবে কিনা। লাভ-লোকসান ঠিকঠাক করে তিনি নেন, না হলে তিনি বিদেশি লোন নেন না। এ ব্যাপারে একেবারে সতর্ক। আমরা ঋণের ফাঁদে পড়ার সম্ভাবনা নেই।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বেসরকারি সেক্টর বাদ দিলে আমাদের সর্বমোট ঋণ খুব অল্প। ১৬ থেকে ১৭ পারসেন্টের মতো। এর অধিকাংশ হচ্ছে, আন্তর্জাতিক অর্থ সংস্থা- ওয়ার্ল্ড ব্যাংক, এডিবি; এসব থেকে নেওয়া। আমাদের মোট ঋণের ৭০ ভাগের মতো তাদের কাছ থেকে নেওয়া। আর বাকি যে ঋণ সেটার মধ্যে সবচেয়ে বড় ঋণ আমরা নেই জাপানের কাছ থেকে। চীন থেকে অল্প ৫ থেকে ৬ পারসেন্টের মতো হবে। কিন্তু ওটা নিয়ে মাথা ঘামায় সবাই। জাপানের কথা কিন্তু কেউ বলে না।
২০১৬ সালে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের ঢাকা সফরের প্রসঙ্গ টানেন মোমেন। তিনি বলেন, ২০১৬ সালে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং যখন ঢাকা সফর করেন। তখন আমরা অনেক অর্থের চুক্তি করেছিলাম। কিন্তু কয়টা হয়েছে? কারণ যখন আসলে হয়, তখন আমরা খুবই হিসাব-নিকাশ করে ঋণ নিয়ে থাকি।
চীনের ঋণ নিয়ে অর্থনীতিবিদদের নেতিবাচক মন্তব্য প্রসঙ্গে ড. মোমেন বলেন, হয়তো তাদের বিশেষ অভিসন্ধি আছে। হয়তো আমেরিকাকে খুশি করার জন্য।
শ্রীলঙ্কার সঙ্গে বাংলাদেশের অবস্থানের তুলনা প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের সঙ্গে শ্রীলঙ্কাকে কোনোভাবে তুলনা করা যায় না। আমাদের খুব বড় এক্সপোর্ট মার্কেট। ৪০ বিলিয়ন ডলার আমরা এক্সপোর্ট করি। শ্রীলঙ্কার সেই সুযোগটা নেই। করোনার সময়েরও আমাদের রেমিট্যান্স আসছে ২৫ বিলিয়ন ডলার। শ্রীলঙ্কার সেই সুযোগ নেই।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
test 2 ...
test ...
hi thi is test ...