ছোটবেলায় নিশ্চয়ই চুইংগাম চিবিয়েছেন? বেশ কিছুক্ষণ ধরে রং-বেরঙের চুইংগাম চিবিয়ে, তারপর সেটাকে পটকা ফোলানো! তবে এই চুইংগাম চিবানোর দৃশ্য সচরাচর বেশি দেখা যায় ক্রিকেট খেলায়। কি কারণে খেলোয়াড়রা অনবরত চুইংগাম চিবাতে থাকেন। এর উপকারিতা কী?… খেলার মাঠের সব খুঁটিনাটি জানা থাকলেও এ বিষয়টি হয়তো অনেকের কাছে রহস্যই থেকে যায়।
খেলার মাঠে কপিল দেব, ভিভ রিচার্ডস, পন্টিং থেকে শুরু করে বিরাট কোহলি, বেন স্টোকসের মতো কিংবদন্তিদের চুইংগাম খেতে দেখা গেছে। অনেকে এটিকে স্টাইল স্টেটমেন্ট বলে ভাবলেও এর পেছনে বৈজ্ঞানিক কারণ রয়েছে।
শান্ত এবং স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করায় চাপের মধ্যে খেলোয়াড়দের শান্ত রাখতে সাহায্য করে চুইংগাম, এটি বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত। একজন ব্যাটসম্যান ১৪০ কিমি. প্রতি ঘণ্টা গতিতে বোলারের মুখোমুখি হন বা ফিল্ডার ক্যাচের জন্য অপেক্ষা করেন, ক্রিকেট এমন একটি খেলা যেখানে একজনকে শান্ত ও স্বাচ্ছন্দ্যে থাকতে হয়। চুইংগাম একজন খেলোয়াড়ের পারফরম্যান্সে সহায়তা করার জন্য সাইকোজেনিক টুল হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
হাইড্রেশন এতক্ষণ মাঠে দাঁড়িয়ে ডিহাইড্রেশন হতে পারে, বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ার মতো গরম আবহাওয়ায়। চুইংগাম আপনাকে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করতে পারে। যদিও চুইংগাম শরীরে জলের পরিমাণ বাড়ায় না ঠিকই তবে এটি চিবিয়ে খাওয়ার ফলে বেশি লালা বের হয়। ফলে স্বাভাবিকের চেয়ে তৃষ্ণার্ত লাগতে পারে। এর ফলেই খেলোয়াড় বেশি জল খান।
একাগ্রতা ক্রিকেট ম্যাচের সময়কাল খুব দীর্ঘ হতে পারে এবং কেউ সহজেই মনোযোগ হারাতে পারেন। দীর্ঘ সময়ের জন্য কিছু করতে হলে যে কেউ একাগ্রতা হারাতে পারেন। চুইংগাম মনকে একাগ্র রেখে অন্যমনস্কতা ঘটতে বাধা দেয়। এটা অবশ্যই ফিল্ডারদের জন্য উপকারী।
প্রতিক্রিয়ার সময় এটি আপনার রিফ্লেক্স গতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। একটি বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা গেছে যে চুইংগাম সতর্কতার মাত্রা উন্নত করতে সাহায্য করে এবং স্নায়ুতন্ত্রকে শরীরের বাকি অংশে দ্রুত বার্তা পাঠাতে সক্ষম করে।
শক্তি জোগায় চুইংগামে গ্লুকোজ থাকে যা দুর্দান্ত রিভাইটালাইজার! খেলোয়াড়ের শক্তি কমতে থাকলে বা ক্লান্ত লাগলে তা দারুণ কাজে আসে।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
test 2 ...
test ...
hi thi is test ...