২০০২ সালে ব্রাজিল যখন বিশ্বকাপ জিতেছিল পঞ্চমবারের মতো, সেই দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন রবার্তো কার্লোস। তবে ব্রাজিলের সেই বিশ্বজয়ের পর পেরিয়ে গেছে আরও ২০ বছর। ব্রাজিল বিশ্বকাপ জিততে পারেনি আর। সেই খরা কাটানোর সময় অবশেষে চলে এসেছে, বিশ্বাস ব্রাজিল কিংবদন্তি কার্লোসের। বিশ্বকাপ নিয়ে অনেক আশায় আছেন বলে জানালেন তিনি।
বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ব্রাজিল রীতিমতো অদম্যই ছিল। দক্ষিণ আমেরিকার বিশ্বকাপ বাছাইপর্বটা পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে থেকে শেষ করেছিল সেলেসাওরা। ম্যাচ হারেনি একটিও। মূল তারকারা আছেন ছন্দে। এই দল নিয়ে তাই আশায় বুক বাঁধছেন কার্লোস।
সম্প্রতি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টা হচ্ছে, ব্রাজিলের একটা দারুণ দল আছে।’ তবে কার্লোসের মতে যে কারণে দলের জেতা উচিত, সেটা একটু ভিন্ন। তিনি বলেন, ‘ব্রাজিলের বিশ্বকাপ জেতার সময় চলে এসেছে, কারণ শিরোপার সাথে শেষ ছবিটা আমাদের (২০০২ বিশ্বকাপের)।’
নিজে খেলোয়াড়ি জীবনে জিতেছেন বিশ্বকাপ। আর তাই শিরোপা জিততে কেমন দল চাই সে নিয়েও কার্লোসের ধারণা আছে বেশ। সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ রাইটব্যাকের মতে, শিরোপা জেতার রসদ ভালোই আছে কোচ তিতের দলে।
তিনি বলেন, ‘আমি বেশ আশাবাদী। বিশ্বকাপটা জেতা অতো সহজ হবে না। আমাদের পর থেকে শেষ কয়েকবার ব্রাজিলের দলগুলো সব বারের মতোই ভালো ছিল, তারা দুর্দান্ত কিছু ম্যাচ খেলেছে বটে, কিন্তু শিরোপা জেতার মতো ভালো খেলেনি।’
ব্রাজিলের সবশেষ হারটা এসেছে কোপা আমেরিকার ফাইনালে, তাদের হারিয়ে ২৮ বছরের খরা শেষ করে আর্জেন্টিনা জেতে শিরোপা। তবে কার্লোস মনে করেন, মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের আসরের চেয়ে বিশ্বকাপের গুরুত্বটা ঢের বেশি। তিনি বলেন, ‘কোপা আমেরিকা গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু ব্রাজিলিয়ানদের জন্য বিশ্বকাপটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ, এর একটা আলাদা স্বাদ আছে।’
সেই শিরোপার জন্য ব্রাজিল অন্যতম ফেভারিট, মনে করেন কার্লোস। বললেন, ‘মোমেন্টামটা ব্রাজিলের পক্ষে আছে। ইউরোপীয় সংবাদ মাধ্যম ইতোমধ্যেই ব্রাজিলকে অন্যতম ফেভারিট বানিয়ে দিয়েছে। এটা গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়।’
স্পেন কোচ লুইস এনরিকে সপ্তাহ খানেক আগে বলেছিলেন, ব্রাজিল বিশ্বকাপের অন্যতম ফেভারিট। কার্লোস মনে করেন অন্য কোচরাও এমনটাই বিশ্বাস করেন। তিনি বলেন, ‘লুইস এনরিকে কয়েকদিন আগে বলেছিলেন এটা। যদি আপনি অন্য সব জাতীয় দলের কোচদের জিজ্ঞেস করেন, তারাও বলবেন, ব্রাজিল বিশ্বকাপ জেতার জন্য চার ফেভারিট দলের একটি। যদি তারা ভালোভাবে প্রস্তুতি নেয়, তাহলে ব্রাজিল আবারও বিশ্বকাপ জিতবে।’
আগামী ২১ নভেম্বর কাতারের মাটিতে পর্দা উঠবে ২০২২ বিশ্বকাপের। এর দুই দিন পর ২৪ নভেম্বর সার্বিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে ব্রাজিল তাদের হেক্সা মিশন শুরু করবে। গ্রুপ ‘জি’তে দলটির সঙ্গী হিসেবে আছে সুইজারল্যান্ড ও ক্যামেরুন।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
test 2 ...
test ...
hi thi is test ...