পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালীন রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য ই-মেইলে আদান-প্রদান নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মধ্যে রয়েছেন হিলারি ক্লিনটন। তবে এই ইস্যুতে হিলারির পক্ষেই অবস্থান নিলেন তার রানিং মেট টিম কেইন। তিনি বলেন, ডেমোক্রেটিক প্রার্থী হিলারি ওইসব তথ্যের সংবেদনশীলতা সম্পর্কে অবগত ছিলেন না। কেননা, ওইসব তথ্যে ‘যথাযথ ল্যাবেলিং’ ছিল না। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়, জুলাই মাসে হিলারি ক্লিনটনকে তিরস্কার করে এফবিআই। পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালে গোপনীয় তথ্য নিয়ে কাজ করার সময় হিলারি ‘চূড়ান্ত রকম অসতর্ক’ ছিলেন বলে অভিযোগ করে এফবিআই। এফবিআইয়ের প্রকাশ করা নথি অনুযায়ী, জুলাই মাসে হিলারি এফবিআইকে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, এমন গোপনীয় তথ্য নিয়ে কিভাবে কাজ করতে হয় সে সম্পর্কে কিংবা ফেডারেল রেকর্ড সংরক্ষণে বিদ্যমান আইন বিষয়ে তাকে অবহিত করা হয়েছে বলে তার মনে পড়ে না। কিন্তু ই-মেইল কেলেঙ্কারি নিয়ে তোপের মুখে রয়েছেন হিলারি। তার রানিং মেট, ভার্জিনিয়া রাজ্যের সিনেটর টিম কেইন অবশ্য পাশেই রয়েছেন হিলারির। তিনি এবিসি টিভির একটি অনুষ্ঠানে বলেন, সরকারি কর্মকর্তা কখনও কখনও এত বেশি তথ্য পেয়ে থাকেন যে, এর মধ্যে কোন্টি রাষ্ট্রীয় গোপনীয় হবে সেটা বের করা কঠিন হয়ে পড়ে। কেইন বলেন, ‘অনেক ই-মেইলে রাষ্ট্রীয় গোপনীয় তথ্য ছিল যেগুলোকে উপযুক্তভাবে চিহ্নিত করা হয়নি। যখন তিনি (হিলারি) ই-মেইল পেয়েছেন, রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ তথ্যসংবলিত ই-মেইলগুলো চিহ্নিত হওয়ার কথা ছিল। অনেক ক্ষেত্রেই তা হয়নি।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের এত বেশি তথ্য দেখতে হয় যে, সুনির্দিষ্ট বা চিহ্নিত কোনো তথ্য ছাড়া সার্বিকভাবে কোনো একটি নথির মধ্যে একটি বিবৃতি বা অনুচ্ছেদে বিশেষ কোনো তথ্য রয়েছে কিনা তা জানা অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়ে।’ হিলারির প্রতিদ্বন্দ্বী রিপাবলিকান প্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্পের প্রসঙ্গেও কথা বলেন কেইন। ট্রাম্প কিছুদিন আগে রাশিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন, তারা যেন হিলারির ই-মেইল সার্ভার থেকে মুছে ফেলা ৩০ হাজার ই-মেইল উদ্ধার করে। ট্রাম্পের এমন আহ্বানকে কেইন তুলনা করেছেন ১৯৭২ সালে ডেমোক্রেটিক দলের সদর দপ্তর ওয়াটারগেটে গোয়েন্দাগিরির ঘটনাকে। ওই ঘটনার সূত্র ধরেই ‘ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারি’তে অভিশংসনের মুখে পদত্যাগ করতে হয় প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সনকে।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.