আমাদের ধারণা, কেবল নবজাতক ও ছোট শিশুদেরই টিকা দেওয়া হয়। বড় বাচ্চাদের কোনো টিকা নেই। আসলে তা নয়। কৈশোরেও কিছু টিকা বা ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। ধরা যাক, কোনো কিশোর বা কিশোরী শিশু বয়সে ইপিআই শিডিউলে থাকা সব কটি টিকা পেয়ে গেছে। তাদের কি আর টিকা নিয়ে কোনো পরামর্শ থাকতে পারে? উত্তর হলো—হ্যাঁ, পারে। শৈশব পেরিয়ে এখন কৈশোর বা বয়ঃসন্ধিকালে যাদের অবস্থান, তাদের রোগ প্রতিরোধ সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য কিছু টিকাদানের পরামর্শ আছে। যেমন— : ইপিআই শিডিউলে থাকা হুপিং কাশির যে তিন ডোজ ভ্যাকসিন শিশু তার ‘ডিপিটি’তে পেয়েছে, দেখা যায় ৫ থেকে ৮ বছরের মাথায় তার কার্যকারিতা অনেকাংশে লোপ পায়। এর ফলে অনেক যুবা ও বৃদ্ধ হুপিং কাশিতে আক্রান্ত হতে পারে। : একইভাবে এ বয়সে এসে শিশুর ধনুষ্টঙ্কার, ডিপথেরিয়া, মেনিনজাইটিস ও জরায়ুমুখের ক্যানসার প্রতিরোধের জন্য ভ্যাকসিন গ্রহণের প্রয়োজন হতে পারে। : বালিকা ও কিশোরীদের ভবিষ্যতে জরায়ুমুখ ক্যানসার প্রতিরোধের জন্য হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস টিকা অল্প বয়সেই শুরু করার নিয়ম। কিশোর-বয়ঃসন্ধিকালের শিশুদের জন্য যেসব ভ্যাকসিন প্রচলিত আছে তা হলো: * টিটেনাস, ডিপথেরিয়া, পারটুসিস (টিডিএপি): ১১-১২ বছর বয়সে। * হিউম্যান পেপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি): ৩ ডোজ, ১১-১২ বছর বয়সে এবং ১২ থেকে ২৬ বছরের সব নারী। তবে ৯ বছর বয়স পূর্ণ হলে এ টিকা দেওয়া যায়। * মেনিনগোকক্কাল এমসিভি ৪: ১১-১২ বছর বয়সে, তবে ১১-১৮ বছরের সবাই এ টিকা নিতে পারে। ১৬ বছর বয়সে একটা বুস্টার ডোজ। * ভেরিসেলা জলবসন্তের টিকা * ইনফ্লুয়েঞ্জা: প্রতিবছর।
ডা. প্রণব কুমার চৌধুরী বিভাগীয় প্রধান, শিশুরোগ বিভাগ, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.