শীতের এসময়ে শিশুদের ত্বকে ফাটা বা আঁশের মতো দাগ দেখা যায়। যাকে ইকথায়োসিস বলা হয়।
এটি একটি জন্মগত রোগ। শিশুকাল থেকেই এ রোগের লক্ষণ ধরা পড়ে। প্রতি হাজার মানুষের মধ্যে ২-৪ জনের এটি থাকবেই। এতে রোগীর শরীর শুষ্ক থাকবে, আক্রান্ত অঞ্চলে মাঝে মাঝে আঁশযুক্ত চামড়া উঠতে দেখা যায়। শরীরে লম্বা লম্বা দাগ ও সূক্ষ্ম লাইন থাকে। ত্বক পুরু হয়ে যায়।
তবে হাত ও পায়ের ভাঁজযুক্ত স্থান থাকবে সম্পূর্ণই স্বাভাবিক। এ রোগে আক্রান্ত শিশুদের হাত ও পায়ের তালুর দিকে তাকালে দেখা যাবে, হাতের রেখাগুলো খুবই স্পষ্ট, যা কিনা সাধারণের ক্ষেত্রে লক্ষণীয় নয়। এ রোগে আক্রান্ত শিশুদের মাথায় খুসকি হয়। এছাড়া বড়দের মুখে ব্রণ হওয়ার আশংকা থাকে।
অনেকে একে অ্যালার্জি বা অ্যাগজিমা বলে ভুল করে থাকে। এ রোগে আক্রান্ত শিশুর বাবা-মায়ের ব্যাপারে খবর নিলে দেখা যাবে তাদেরও কোনো না কোনো ধরনের অ্যালার্জিক সমস্যা ছিল বা এখনো রয়েছে।
ইলেকট্রন মাইক্রোস্কোপি দিয়ে পরীক্ষার মাধ্যমে এ রোগটি শনাক্ত করা হয়।
চিকিৎসা : ত্বকের এ রোগটি একেবারেই ভালো হয় না। তবে এটি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব, যদি ত্বকের গায়ে তৈলাক্ত পদার্থ নিয়মিত মাখা যায়।
সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ইউরিয়া, ল্যাকটিক এসিড ও গ্লাইকোলিক এসিড ব্যবহার করা যেতে পারে। এছাড়া গ্লিসারিনের সঙ্গে সমপরিমাণ পানি মিশিয়ে ত্বকে ব্যবহার করলেও ভালো ফল পাওয়া যায়।
শিশুকে গোসল করানোর সময় ময়েশ্চারাইজিং লোশন প্রেট্রোলিয়াম জেলিজনিত ক্রিম মাখাতে পারেন। যেসব খাবারে চুলকানি বাড়ে তা এড়িয়ে চলাই ভালো।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.