অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুলের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ফোনালাপ আন্তরিক হয় নি। বরং উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের এক পর্যায়ে একরকম ধমকের সুরেই ফোনের লাইন কেটে দিয়েছেন ট্রাম্প। দু’দেশের প্রধানমন্ত্রীর ফোনালাপ এক ঘণ্টা স্থায়ী হওয়ার কথা থাকলেও মাত্র ২৫ মিনিটের মাথায় ট্রাম্প আচমকা ফোন রেখে দেন। একটি শরণার্থী চুক্তি নিয়ে দু’দেশের মধ্যে তীব্র বাদানুবাদ হয়। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সঙ্গে চুক্তিটি করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী টার্নবুল। গত শনিবার তার সঙ্গে ফোনালাপকালে ট্রাম্পের বিরোধ বাধে এ চুক্তিকে কেন্দ্র করেই। পরে এক টু্ইটে চুক্তিটি পড়ে দেখবেন বলে জানালেও বৃহস্পতিবার ফের চুক্তির তীব্র সমালোচনার পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়াকে এর জন্য দোষারোপ করে পরিস্থিতি ঘোলাটে করে তুলেছেন ট্রাম্প। ‘দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট’ জানায়, আলাপের এক পর্যায়ে টার্নবুলের মুখের ওপর ট্রাম্প বলে দেন যে, তিনি একইদিনে অনেক বিশ্ব নেতার সঙ্গে কথা বলেছেন। কিন্তু এ পর্যন্ত এটিই হচ্ছে তার কাছে সবচেয়ে ‘জঘন্য’ ফোনালাপ। অস্ট্রেলিয়া এসব শরণার্থীকে নিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে তাদেরকে নাউরু ও পাপুয়া নিউ গিনির মত প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলোর উপকূলীয় আটককেন্দ্রে আটকে রেখেছে। যুক্তরাষ্ট্র তাদেরকে নিলে এর বিনিময়ে অস্ট্রেলিয়া এল সালভাদর, গুয়েতেমালা এবং হন্ডুরাসের শরণার্থীদেরকে পুনর্বাসন করবে। পরে ট্রাম্প এক ট্যুইটে চুক্তিটি পড়ে দেখবেন বলে জানালেও এর তীব্র সমালোচনা করে চুক্তিটিকে ‘নির্বোধ’ আখ্যা দেন। বৃহস্পতিবার এক ট্যুইটে ট্রাম্প লেখেন, ‘আপনাদের বিশ্বাস হয়? অস্ট্রেলিয়া থেকে হাজার হাজার অবৈধ অভিবাসী নিতে রাজি হয়েছিল ওবামা প্রশাসন। কেন? এই নির্বোধ চুক্তিটি আমি পড়ে দেখব’। ট্রাম্প প্রশাসন অবশ্য বলছে, তারা অস্ট্রেলিয়া থেকে ১২৫০ শরণার্থী নেবে। তবে তাদেরকে নেওয়া হবে চুলচেরা যাচাই-বাছাইয়ের মধ্য দিয়ে। ওদিকে, হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র সিয়ান স্পেইসার এবং অস্ট্রেলিয়ার মার্কিন দূতাবাসও বলেছে, ট্রাম্প চুক্তিটি বহাল রাখবেন।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.