সিনেমার কাজ নিয়ে ব্যস্ত আছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী মৌনিতা খান ঈশানা। প্রতিদিনই শুটিং। আজ ঢাকায় তো কাল রাঙ্গামাটি। কিংবা দেশের অন্য কোনো প্রান্তে। এ ব্যস্ততা নিয়েই কেটে যাচ্ছে তার দিনকাল। এমনটাই জানা গেল সমপ্রতি। আসলেই কি তাই? ঈশানা চলচ্চিত্রে অভিনয় করছেন! এ কথা আগে তো বলেননি! সত্যতা জানতেই কথা হলো তার সঙ্গে। তিনি বলেন, আমি এখন সিনেমার নায়িকা। সে কাজই করছি। একদম নায়িকার চরিত্রে। অনেকটা রহস্যজনক হাসি দিয়ে যখন ঈশানা কথাগুলো বলছিলেন তখনই মনে হয়েছে কোথাও কোনো রহস্য থেকে যাচ্ছে। কথায় কথায় আবারো তাকে প্রশ্ন- সিনেমার নাম কী? ঈশানা বললেন, ‘সিনেমার গল্প’। আসলে এটি একটি ধারাবাহিক নাটক। যা পরিচালনা করছেন অনন্ত হীরা। এখানে একজন নায়িকার চরিত্রে অভিনয় করছি। এখন (সাক্ষাৎকারটি নেয়ার সময়) রাঙ্গামাটির পথে আছি। সেখানে কয়েকদিন শুটিং চলবে। একজন নায়িকার বহু কাজ। সিনেমা তো আগে কখনো করিনি। তবে সত্যি সত্যি যখন করবো তখন হয়তো কোনো সমস্যা হবে না কাজ করতে গিয়ে। এখন প্র্যাকটিসটা সেরে নিচ্ছি। এদিকে ‘সিনেমার গল্প’ ছাড়া এ মুহূর্তে আরো বেশ কয়েকটি ধারাবাহিকে নিয়মিত অভিনয় করছেন ঈশানা। বিভিন্ন চ্যানেলে সেগুলো প্রচারও হচ্ছে। সেসব ধারাবাহিকের মধ্যে রয়েছে ‘হাই সোসাইটি’, ‘খেলাঘর’, ‘শান্তি অধিদপ্তর’, ‘তুমি আসবে বলে’, ‘এক পা দু পা’, ‘নোয়াশাল’ ইত্যাদি। ধারাবাহিকের পাশাপাশি খণ্ড নাটকেও নিয়মিত ঈশানা। ব্যস্ততা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এখন ধারাবাহিকের কাজ বেশি চলছে। তবে এর সঙ্গে খণ্ড নাটকে কাজ করছি। যা সংখ্যায় কম। আসলে খণ্ড নাটক তো বিশেষ দিবস ছাড়া সেভাবে নির্মাণ হয় না। তবে আসছে ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে দুটি নাটকের কাজ শেষ করেছি। এর মধ্যে একটির নাম ‘বাজি’ এবং
অন্যটি হলো ‘বোট’। এগুলো কোন্ চ্যানেলে প্রচার হবে তা জানি না। তবে ভালোবাসা দিবস উপলক্ষেই করেছি। অভিনেত্রী হিসেবে সব ধরনের নাটকেই কাজ করতে হয়। তবে খণ্ড নাটক কিংবা ধারাবাহিকের মধ্যে বিশেষ পছন্দের জায়গা তো অবশ্যই আছে। সেক্ষেত্রে খণ্ড নাটকেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন ঈশানা। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অভিনেত্রী হিসেবে আমাকে দুই ধরনের নাটকেই কাজ করতে হয়। তাই এটাকে আলাদা করে দেখার কোনো সুযোগ নেই। আমার কাছে খণ্ড নাটক হলো প্যাশন। আর ধারাবাহিক হলো পেশা। তবে খুব ভালোলাগার কথা যদি বলি, খণ্ড নাটকের কথাই বলবো। কারণ, এ ধাঁচের নাটক দর্শক দেখে শেষ করতে পারেন। ত্বরিত রেসপন্স পাওয়া যায়। আর দর্শক ধারাবাহিক নাটক এখন দেখতে চান না। গল্প ভালো হলেও দেখা যায়, তাদের গন্তব্য ভারতীয় চ্যানেলের দিকে। তাই বলে আমাদের মেকিং খারাপ হচ্ছে বা নিজেদের দুর্বলতা রয়েছে সেটা না। সবচেয়ে বড় ঘাটতি হলো বাজেট। এ সমস্যা দূর হলেই নাটকে সুদিন ফিরে আসবে বলে আমি বিশ্বাস করি। সেই প্রত্যাশাতেই রয়েছি। ঈশানা অনেকদিন ধরেই বলছেন শিগগিরই বিয়ে করবেন। কিন্তু এখনো সেই সুখবরটি দেননি এ অভিনেত্রী। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিয়ে তো করতেই চাই। কিন্তু ভালো পাত্র যে মিলছে না! পরিবার থেকেও দেখা হচ্ছে। আসলে সবকিছু ওই উপরওয়ালার হাতে। তিনি যখন চাইবেন তখনই হবে।