আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে পুরো দেশকে ভারতের হাতে তুলে দিয়েছে এবং সরকার বাংলাদেশকে ভারতের হাতে উজাড় করে দিচ্ছে বলে দাবি করেছে বিএনপি। আজ শুক্রবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এই দাবি করেন। রিজভী বলেন, ‘বাংলাদেশের বিভিন্ন বাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলো পরিদর্শন করছেন বাংলাদেশে দায়িত্বপ্রাপ্ত বর্তমান সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ কাছাকাছি একটি দেশের কূটনীতিকেরা। এটি কিসের আলামত। সরকার নিজেকে টিকিয়ে রাখার জন্য অন্য দেশের সমর্থন নিতে গিয়ে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের পরিণতি এখন বিষম দুর্বিপাকের মধ্যে।’ রিজভী বলেন, ‘সামগ্রিকভাবে মনে হচ্ছে আমাদের সকল সরকারি প্রতিষ্ঠানকে পার্শ্ববর্তী দেশের এক্সটেনশনে পরিণত করার উদ্যোগ চলছে। প্রতিবেশী দেশকে খুশি করার জন্য নানা উপহারে ভূষিত করা হচ্ছে রাষ্ট্রাচারের প্রকরণ অমান্য করে । আর এর বিনিময়ে বাংলাদেশের প্রাপ্তি হচ্ছে লবডঙ্কা।’ বিএনপির এই নেতা বলেন, ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে বাংলাদেশ থেকে পাট ও পাটজাত দ্রব্যসহ ৬টি পণ্য রপ্তানি হতো । একতরফাভাবে বাংলাদেশের পাট ও পাটপণ্যের ওপর ভারতের অ্যান্টি ডাম্পিং শুল্ক আরোপের ভারতে পাট রপ্তানি বন্ধ হয়ে পড়ছে। গত ৫ জানুয়ারি ভারত সরকার এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারির পর থেকে পাট ও পাটপণ্য রপ্তানি আটকে গেছে। এটি নিয়ে সরকারের কোনো পদক্ষেপ চোখে পড়ছে না। উল্টো সরকার হাজার হাজার কোটি ব্যয় করে সড়ক মহাসড়ক তৈরি করে প্রতিবেশী দেশের পণ্য পরিবহনে সুবিধা করে দিচ্ছে। মোংলা ঘসিয়াখালি নৌরুট দিয়ে যাতে ভারত সহজে পণ্য যাতায়াত করতে পারে সে জন্য গত সপ্তাহে ৭০৬ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে এ সরকার। রিজভী দাবি করেন, নাজেহাল করতেই বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে প্রতি সপ্তাহে একবার অথবা দুই বার আদালতে উপস্থিত থাকতে বাধ্য করা হচ্ছে। এটা সরকার প্রধানের প্রতিহিংসার বহিঃপ্রকাশ।