দীর্ঘদিন ধরে চলচ্চিত্র এবং নাটকে অভিনয় করছেন সমাদৃত অভিনেত্রী খালেদা আক্তার কল্পনা। দর্শকের কাছে মা চরিত্রের অভিনেত্রী হিসেবেই তিনি বেশি পরিচিত। বিশেষত অনেক চলচ্চিত্রে তিনি মা চরিত্রে অনবদ্য অভিনয় করে পেয়েছেন দর্শকের ভালোবাসা। দর্শকের সেই ভালোবাসাকেই শ্রদ্ধা জানিয়ে এবার নিজেই একটি মঞ্চ নাটক রচনা করেছেন। নাটকের নাম ‘এমন একটা মা দে না’। নাটকটির মূল চরিত্রে তিনি নিজেই অভিনয় করেছেন। এটি নির্দেশনা দিয়েছেন মেহজান। এরইমধ্যে চার-পাঁচবার নাটকটির মঞ্চায়ন হলেও এখন আর তিনি এই নাটকের মঞ্চায়নে থাকেন না। খালেদা আক্তার কল্পনা নাটকটির মঞ্চায়নের ক্ষেত্রে আর্থিক সংকটের কথা বিশেষভাবে তুলে ধরেছেন। তিনি বলেন, আমার লেখা প্রথম মঞ্চ নাটক এটি। এত চমৎকার গল্পের একটি নাটক। কিন্তু আর্থিক সংকটের কারণে যথাযথ চরিত্রগুলোর ক্ষেত্রে দুর্বল অভিনয়শিল্পীদের অংশগ্রহণে নাটকটির মান নিয়ে প্রশ্ন উঠে। আর তাই আমি চাই না আমার লেখা নাটকের আর যাচ্ছেতাইভাবে মঞ্চায়ন হোক। অভিনয় করি, তাতেই তৃপ্ত আমি। খালেদা আক্তার কল্পনা বর্তমানে দুটি ধারাবাহিক নাটকে নিয়মিত অভিনয় করছেন। একটি সালাহউদ্দিন লাভলুর ‘সোনার পাখি রুপার পাখি’ অন্যটি কায়সার আহমেদের ‘ফুলকি’। এছাড়া তার অভিনীত দুটি চলচ্চিত্রের কাজ অনিশ্চিত হয়ে আছে। একটি ‘পাঙ্কু জামাই’ এবং অন্যটি ‘হারজিৎ’। ‘পাঙ্কু জামাই’ আটকে আছে অপু বিশ্বাসের কারণে এবং ‘হারজিৎ’ আটকে আছে শেষতক সিদ্ধান্তের কারণে যে আদৌ চলচ্চিত্রটির শুটিং হবে কী-না। এদিকে খালেদা আক্তার কল্পনা সম্প্রতি একটি বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের জুসের বিজ্ঞাপনে মডেল হিসেবে কাজ করেছেন। যার প্রচার ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। এটি নির্মাণ করেছেন কৃষ্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায়। বিজ্ঞাপনে কল্পনার সিনেমায় অভিনয়ের আদলে উপস্থিতি ছিল নান্দনিক। প্রথম দিন থেকেই বিজ্ঞাপনটিতে কাজ করার জন্য বেশ সাড়া পাচ্ছেন বলে জানান এ অভিনেত্রী। বিজ্ঞাপনে খালেদা আক্তার কল্পনাকে প্রথম দেখা যায় আফজাল হোসেনের নির্দেশনায় লালবাগের ‘হাসমার্কা গন্ধরাজ নারকেল তেল’-এর বিজ্ঞাপনে। এরপর আরো বেশকিছু বিজ্ঞাপনে মডেল হন তিনি। ১৯৮৪ সালে ‘নতুন মুখের সন্ধানে’ কার্যক্রমের মাধ্যমে চলচ্চিত্রের সঙ্গে সম্পৃক্ত হন কল্পনা। মিজানুর রহমানের ‘হনুমানের পাতাল বিজয়’ চলচ্চিত্রে প্রথম অভিনয় করলেও তার অভিনীত প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র হচ্ছে মতিন রহমানের ‘রাধাকৃষ্ণ’। এরপর একে একে ‘সোহেল রানা’, ‘ফুলশয্যা’, ‘শেষ আঘাত’, ‘মায়ের কান্না’, ‘তিন কন্যা’, ‘রকি’, ‘ঢাকা-৮৬’, ‘জ্বিনের বাদশা’, ‘অচেনা’, ‘স্বপ্নের ঠিকানা’, ‘আনন্দ অশ্রু’, ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’সহ অসংখ্য চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। নায়করাজ রাজ্জাক পরিচালিত ‘জ্বিনের বাদশা’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনি প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.