ব্যাটিং ও বোলিংয়ের দারুণ নৈপুণ্য প্রদর্শন করে তৃতীয় টি টোয়েন্টি ৭৫ রানে জিতে সিরিজের দখল নিল ভারত। চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে ভারতের ২০২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে স্পিনার যজুবেন্দ্র চাহালের রেকর্ড ছয় উইকেট নেয়ার দিনে মাত্র ১২৬ রানে গুটিয়ে যায় ইংলিশরা।
এই জয়ে তিনম্যাচের সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতল ভারত। টসে জিতে ভারতকে ব্যাট করতে পাঠান ইংলিশ অধিনায়ক মর্গ্যান৷ কোহালি-রাহুল অল্প রানে ফেরার পর ধোনি-রায়নার ব্যাটে শুরু হয় ধুন্ধুমার কাণ্ড৷ দু’জনেই হাফ সেঞ্চুরি করেন৷ রায়নার ব্যাটে আসে ৬৩ (৪৫ বল)৷ তাঁর ইনিংস সাজানো ছিল ৫টি চার ও ২টি ছয়।
রায়না ফেরার পর বিস্ফোরক মেজাজে শুরু করেছিলেন যুবরাজ সিং। ক্রিস জর্ডানের একটি ওভারে তিনি ৩টি ছয় এবং ১টি চার মারেন। ১০ বলে ২৭ করে ফিরে যান তিনি। যেখানে যুবরাজ থামেন, সেখান থেকে ব্যাটন তুলে নেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। ৩৬ বলে করেন ৫৬৷ তাঁর ইনিংস সাজানো ছিল ৫টি চার ও ২টি ছক্কায়। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ২০২ তোলে কোহলির দল৷
জবাবে ব্যাট করতে নেমে চাহালের স্পিনের ফাঁদে আটকে যায় ইংল্যান্ড৷ জবাবে ব্যাট করতে নেমে রয় শুরুটা ভাল করলেও শূন্য রানে চাহল ফেরান বিলিংসকে৷ রুট ও রয় ইনিংসকে এগিয়ে নিয়ে গেলেও ৩২ রানে ফেরেন রয়৷ জো রুট করেন লড়াকু ৪২ রান৷ ৪০ রান করে ফেরেন অধিনায়ক ইয়ন মর্গ্যান৷ কিন্তু, শেষ পর্যন্ত চাপের মুখে ভেঙে পড়ে ইংলিশ ইনিংস৷ মাত্র ১৬.৩ ওভারে ১২৭ রানেই গুটিয়ে যায় ইংল্যান্ডের ব্যাটিং।
৬ উইকেট নিয়ে ইংরেজ ব্যাটিংয়ের মেরুদণ্ড একাই ভেঙে দেন যজুবেন্দ্র চাহাল। ৪ ওভার বল করে মাত্র ২৫ রান খরচ করে তিনি ৬ জন ব্যাটসম্যানকে ফেরত পাঠান। ৩ উইকেট নেন জাসপ্রিত বুমরাহ। একটি উইকেট দখল করেন অমিত মিশ্র। এর আগে কানপুরে প্রথম ম্যাচে হারের পর নাগপুরে গত ম্যাচে ৫ রানে জিতে সিরিজে সমতা ফিরিয়েছিল ভারত। গত ১৫ মাস ঘরের মাঠে কোনও সিরিজ হারেনি ভারত। সেই ধারাই অক্ষুণ্ণ রইল। আর ইংলিশরা টেস্টের পর সীমিত ওভারের দুই সংস্করণ ওয়ানডে ও টি টোয়েন্টি সিরিজটাও হারল। ক্রিকইনফো।