একমাত্র টেস্ট খেলতে ভারতে রওনা হওয়ার আগে কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে বলে গেছেন, বাংলাদেশ খেলবে জয়ের জন্য। কাল হায়দরাবাদে মুমিনুল হকের মুখেও শোনা গেল একই কথা। কোহলিদের সঙ্গে জয়ের লক্ষ্যেই খেলবেন তাঁরা।
দেশের মাঠে টেস্টে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশ কখনো জিততে পারেনি। ৮ টেস্টের ৬টিতে হার, বাকি দুটি বৃষ্টির সৌজন্যে ড্র। ভারতের মাটিতে বাংলাদেশ কি পারবে দুর্দান্ত কিছু করতে? মুমিনুল অবশ্য আশাবাদী, ‘অসাধারণ সব খেলোয়াড় আছে তাদের। তারা শক্তিশালী এক দল। এই মুহূর্তে টেস্টে তারা এক নম্বর। তবে আমরা চেষ্টা করব ভালো খেলতে। আমরা খেলব জয়ের জন্য।’
টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার ১৭ বছরের মধ্যে ভারতে প্রথম টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ। দুই দলের এই ম্যাচ নিয়ে মুমিনুল খানিকটা রোমাঞ্চিত, ‘আমাদের দলের জন্য এটা রোমাঞ্চকর। অন্যদের মতো আমিও এখানে কখনো খেলিনি (টেস্ট)। এখানে আমাদের আরও শিখতে হবে, ভালো খেলতে হবে। ভারতের মাটিতে ভারতের বিপক্ষে খুব বেশি খেলা আমাদের হয় না। যেটা আমরা চাই।’
ভারতে গিয়েও বাংলাদেশকে পিছু ছাড়ছে না নিউজিল্যান্ড সফরের ব্যর্থতা। তবে কিউইদের বিপক্ষে টানা ব্যর্থ হলেও অনেক প্রাপ্তি খুঁজে পাচ্ছেন মুমিনুল, ‘প্রতিটা সিরিজই ভালো। নিউজিল্যান্ডে কী হয়েছে সেটি ভাবতে চাই না। আমরা আপাতত এই সিরিজেই চোখ রাখছি। তবে সেখানে সাকিব ভাই ডাবল সেঞ্চুরি করেছে, মুশফিক ভাই ১৫০ রান করেছে। এটা আমাদের অনুপ্রাণিত করছে। আশা করি, তারা এখানেও ভালো করতে পারবে।’
ভারতের বিপক্ষে একটিই টেস্ট খেলেছেন মুমিনুল। ২০১৫ সালের জুনে ফতুল্লা টেস্টে খুব একটা ভালো করতে পারেননি বাঁহাতি টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান, করেছিলেন ৩০ রান। এবার নিশ্চয়ই পুরোনো ব্যর্থতা পুষিয়ে দিতে চাইবেন। যদিও ব্যক্তিগত লক্ষ্য নিয়ে কিছু বলতে চান না মুমিনুল, ‘আমার কোনো ব্যক্তিগত লক্ষ্য নেই। তবে অনেক দিন ধরে লম্বা ইনিংস খেলতে পারছি না। এবার চেষ্টা করব বড় স্কোর করতে। আমার প্রমাণেরও কিছু নেই। তবে প্রতিদিনই আরও উন্নতি করে যেতে চাই।’
মেহেদী হাসান মিরাজ জানিয়েছেন, হায়দরাবাদ টেস্ট শেষে তিনি দেখা করবেন বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম সেরা স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিনের সঙ্গে। মুমিনুলেরও এমন একটা ইচ্ছে আছে। তিনি চান সময়ের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান বিরাট কোহলির সঙ্গে কথা বলতে, ‘সে দুর্দান্ত। চেষ্টা করব তার সঙ্গে কথা বলতে। তার আক্রমণাত্মক ব্যাটিং ভালো লাগে। যদি আক্রমণাত্মক হন কারও কাছে আপনি হারবেন না।’
টিম হোটেল থেকে রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে যেতে কাল বাংলাদেশের লেগেছে এক ঘণ্টা। হায়দরাবাদের যানজট দেখে খেলোয়াড়দের হয়তো ঢাকার কথা মনে পড়েছে। অনুশীলন বিকেল ২টা থেকে শুরু হলেও বাংলাদেশ দল রওনা দেয় বেলা সাড়ে ১১টায়। জুমার নামাজ আর দুপুরের খাবার খেতে একটু আগেভাগেই বের হওয়া। ৬টা পর্যন্ত অনুশীলন করে মুশফিকরা হোটেলে ফিরেছেন সন্ধ্যা ৭টায়।