মার্কিন রাষ্ট্রদূত বার্নিকাট বলেছেন, ধর্ম আমাদের বিভিন্ন হলেও স্রষ্টা আমাদের কিন্তু এক। আন্তঃধর্মীয় সমপ্রীতি বজায় থাকলে সমাজে কোনো ধরনের সন্ত্রাস ও বিশৃঙ্খলা হয় না। বাংলাদেশ একটি সামপ্রদায়িক সমপ্রীতির দেশ। এখানকার আন্তঃধর্মীয় সমপ্রীতি চমৎকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সামপ্রদায়িক সমপ্রীতির ধারক হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি গতকাল কক্সবাজার সাগর পাড়ের ইসলামিয়া মহিলা কামিল মাস্টার্স মাদরাসা পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন। গত তিনদিন ধরে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বার্নিকাট কক্সবাজার সফরে রয়েছেন। বার্নিকাট সকাল সাড়ে নয়টায় ইসলামিয়া মহিলা কামিল মাস্টার্স মাদরাসা ক্যাম্পাসে পৌঁছান। মাদরাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ প্রিন্সিপ্যাল মাওলানা জাফর উল্লাহ নূরী তাকে স্বাগত জানান। মাদরাসার সুন্দর পরিবেশ, শিক্ষা কার্যক্রম ও শিক্ষার্থীদের সুশৃঙ্খল অবস্থা দেখে মার্কিন রাষ্ট্রদূত সন্তোষ প্রকাশ করেন। এসময় প্রিন্সিপ্যাল মাওলানা জাফর উল্লাহ নূরী মাদ্রাসার পক্ষ থেকে বার্নিকাটের হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন। মাদরাসায় পৌঁছেই সেখানে আমেরিকান সেন্টার আয়োজিত দু’মাসব্যাপী ইংরেজি ভাষা কোর্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন তিনি। বার্নিকাট বলেন, বাংলাদেশও আমেরিকার মতো একটি দেশ। এখানে বহু জাতি ও সমপ্রদায়ের মানুষের বসবাস। আমেরিকান সেন্টার ইংরেজি ভাষা প্রশিক্ষণের পাশাপাশি বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মানুষের মাঝে আন্তঃধর্মীয় সমপ্রীতি সৃষ্টির কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের পার্শ্ববর্তী মিয়ানমারে আন্তঃধর্মীয় সমপ্রীতি না থাকায় সেখানে সামপ্রদায়িক সমপ্রীতি নেই। সামাজিক বিশৃঙ্খলা বন্ধ হচ্ছে না। মিয়ানমারে রোহিঙ্গা নির্যাতনের পেছনে আন্তঃধর্মীয় সমপ্রীতির অভাব অন্যতম কারণ বলে উল্লেখ করে বার্নিকাট বলেন, বাংলাদেশ তার ব্যতিক্রম। এখানকার আন্তঃধর্মীয় সমপ্রীতি তাকে মুগ্ধ করেছে। আমেরিকান সেন্টারের সহায়তায় কক্সবাজারে এলপিসি বা লেংগুয়েজ প্রফেসিয়েন্সি সেন্টার গত দু’মাসব্যাপী চলে আসা একটি ইংরেজি ভাষা শিক্ষা কোর্সের সমাপনী অনুষ্ঠানের আয়োজন ছিল ইসলামিয়া মাদরাসায়। বার্নিকাট ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন। বিভিন্ন স্কুল-মাদরাসা ও কলেজের শিক্ষকসহ বিভিন্ন ধর্মীয় ৫০ জন শিক্ষার্থী এতে অংশ নেন। মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে ছিলেন দূতাবাসের সমন্বয় কর্মকর্তা মি. কেলী, ইংরেজি ভাষাবিষয়ক কর্মকর্তা রাইহানা সুলতানা ও এলপিসি সমন্বয়কারী জাবেদ হায়দার করিম এবং কক্সবাজারের এলপিসি কর্মকর্তা প্রফেসর আরিফুল ইসলাম, প্রফেসর নূরুল আজিম, প্রফেসর মুঃ ওয়াকার উদ্দিন ও প্রফেসর জেবুন্নিসা প্রমুখ।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.