দশ দিন পর বিয়ে। আসছে ১ ডিসেম্বরের সাজ ও আয়োজন নিয়ে বিভোর ২০ বছর বয়সী রুবি গুপ্ত। বিয়ের কেনাকাটাও শেষ। বিয়ে উপলক্ষে কেনা সাজ-সরঞ্জাম, ভাইবোন ও বাবাকে নিয়ে নিজ শহর উত্তর প্রদেশের আজমগড়ের উদ্দেশে ট্রেনে চেপে বসেন রুবি। ট্রেনের সঙ্গে সঙ্গে তার স্বপ্ন ছুটে চলেছে নিজ শহরের দিকে। হঠাৎ রোববার ভোরে কানপুরের কাছে ওই পাটনা-ইন্দোর এক্সপ্রেস ট্রেনের ১৪টি বগি লাইনচ্যুত হয়। এতে এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়েছে। আহত হয়েছে শতাধিক। রুবির বাবা রামপ্রসাদ গুপ্তের খোঁজ নেই সকাল থেকেই। মরিয়া হয়ে তাকে খুঁজে বেড়াচ্ছেন রুবিসহ ভাই-বোনরা। বিয়ের স্বপ্ন চুলোয় যাক, এখন তার একটাই চাওয়া, যে করেই হোক বাবাকে খুঁজে পাওয়া। এনডিটিভি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রেন দুর্ঘটনায় রুবি গুপ্তের হাত ভেঙে গেছে। এ ছাড়া তার সঙ্গে থাকা বোন অর্চনা, খুশি, ভাই অভিষেক ও বিশাল গুরুতর আহত। এ অবস্থাতেই তারা বাবাকে খুঁজে পেতে মরিয়া চেষ্টা করছেন। রুবি গুপ্ত বলেন, ‘বাবাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। সবখানেই তাকে খোঁজা হয়েছে। কেউ কেউ আমাকে হাসপাতাল ও মর্গে খোঁজ নিতে বলেছেন। কিন্তু আমি বুঝতে পারছি না, আমি কী করব।’ তিনি বলেন, বিয়ের জন্য কেনা পোশাক, গহনাসহ অন্য সব সামগ্রীও হারিয়ে গেছে। এগুলো এখন তাকে খুব একটা ভাবাচ্ছে না। বাবার চিন্তায় তিনি এখন অস্থির। রুবি আরও বলেন, ‘আমি জানি না, আমার বিয়েটা পরিকল্পনা মতো হবে কি না। এই মুহূর্তে আমি বাবাকে খুঁজে পেতে চাই। সবখানেই ফোন করার চেষ্টা করছি। কিন্তু জানি না কী হবে।’ ক্ষতিগ্রস্ত বগির মধ্যে কিছু যাত্রী আটকা পড়েছেন। এখন ভারী যন্ত্র দিয়ে বগিগুলো কেটে আটকেপড়া যাত্রীদের উদ্ধার করা হচ্ছে। এ ঘটনায় দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিহতের পরিবার প্রতি দুই লাখ রুপি ও গুরুতর আহতদের ৫০ হাজার রুপি সহায়তা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.