নেইমারের প্রতিভা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু মাঝেমধ্যে মেজাজ হারিয়ে দলকে বিপদে ফেলে দেন ব্রাজিলের সবচেয়ে বড় তারকা। সামনেই রিও অলিম্পিক। বিশ্বকাপে রেকর্ড পাঁচবার শিরোপা ঘরে তুললেও অলিম্পিক ফুটবলে আজো স্বর্ণ জিততে পারেনি ব্রাজিল। নেইমারকে তাই দেশের স্বার্থে মাথা ঠান্ডা রেখে খেলার পরামর্শ দিয়েছেন ব্রাজিলের সাবেক মিডফিল্ডার জুনিনিয়ো পউলিস্তা।
গত বছর কোপা আমেরিকায় কলম্বিয়ার কাছে ১-০ গোলে হেরে যাওয়ার পর প্রতিপক্ষের এক খেলোয়াড়কে অহেতুক লাথি মেরেছিলেন নেইমার। ওই অপরাধে চার ম্যাচের জন্য সাসপেন্ড হওয়ায় লাতিন আমেরিকার সেরা প্রতিযোগিতায় আর খেলতে পারেননি বার্সেলোনা তারকা। নেইমারকে ছাড়া ব্রাজিলও বেশি দূর যেতে পারেনি। কোয়ার্টার ফাইনালে প্যারাগুয়ের কাছে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নিয়েছিল টুর্নামেন্ট থেকে।
ঘরের মাঠের অলিম্পিকে এমন ‘দুর্ঘটনা’ ঘটলে নিশ্চয়ই আকাশ ভেঙে পড়বে ব্রাজিলিয়ানদের মাথায়। জুনিনিয়ো তাই আগে থেকেই সতর্ক করে দিতে চাইছেন উত্তরসূরীকে। অমনিস্পোর্টকে তিনি বলেছেন, ‘তাকে আবেগ সামলাতে হবে। সে ভালোমতোই জানে সেলেকাওদের কাছে তার গুরুত্ব কতখানি। আমাদের দলও জানে নেইমার কতটা গুরুত্বপূর্ণ। নেইমার অনন্য ফুটবলার হলেও তার আবেগ নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন।’
জুনিনিয়ো অবশ্য নেইমারের প্রশংসায় উচ্ছ্বসিত। ব্রাজিলের ২০০২ বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৯৬ অলিম্পিকে অংশ নিলেও সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল ব্রোঞ্জ পদক নিয়ে। জুনিনিয়োর আশা, নেইমারের হাত ধরে অলিম্পিক ফুটবলে প্রথম স্বর্ণ জয়ের আনন্দে মেতে উঠবে ব্রাজিলিয়ানরা, ‘নেইমার ভিন্ন ধরনের খেলোয়াড়। সে অনন্য। তার পায়ে বল এলে প্রত্যেকে গোলের আশায় বুক বাঁধে। জাতীয় দলের সাফল্য নির্ভর করছে তার ওপরে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, তার সাহায্য নিয়ে ব্রাজিল ২০১৬ অলিম্পিকের শিরোপা জিততে পারবে। নেইমার ছাড়াও ব্রাজিলে কয়েকজন দুর্দান্ত খেলোয়াড় আছে। আমি মনে করি তারা এই স্বপ্নের শিরোপা এনে দিতে পারবে আমাদের।’
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.