হয়তো নতুন একটা ব্যাটারি কিনলেই চলে। কিংবা কোনো যন্ত্রাংশ বদলে নিলেই হলো। পুরোনো হয়েছে বলেই এত দিনের স্মার্টফোনটা ফেলে নতুন একটা কিনতে হবে, তা কিন্তু না। দ্য নিউইয়র্ক টাইমস-এর প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ জে ডি বিয়ার্সডর্ফার বলেছেন, ‘দরকার যত্ন ও ভালোবাসা।’ তিনি বেশ কিছু টিপস দিয়েছেন কীভাবে মুঠোফোনের সমস্যা খুঁজে বের করতে হয় এবং কীভাবে নিজে নিজেই ছোটখাটো সমস্যার সমাধান করা যায়। ধীর গতির হলে প্রধান করণীয় হলো মেমোরি ফাঁকা করা। দরকার পড়ে না, কিংবা কম ব্যবহার করা হয় এমন সব অ্যাপ আনইনস্টল করে ফেলুন। মুঠোফোনে রাখা শত শত ছবি কম্পিউটারে নামিয়ে রাখুন। ঘুরেফিরে যে কয়টা গান শোনা হয়, তা বাদে সব মুছে ফেলুন। ব্যাটারিতে চার্জ থাকছে না—এমন অভিযোগ সব স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর কাছে পাওয়া যাবে। প্রথমত, আপনাকে মেনে নিতে হবে সাধারণ ‘ফিচার’ ফোনের তুলনায় স্মার্টফোনে চার্জ কম থাকবে। দ্বিতীয়ত, ফোনের চার্জ বেশি খরচ করে এমন অ্যাপ মুছে ফেলুন। সবশেষে, যখন দেখছেন হুট করে চার্জ কমে বা বেড়ে যাওয়া কিংবা দ্রুত নিঃশেষ হয়ে যাওয়ার মতো অস্বাভাবিক আচরণ করছে ব্যাটারি, তখন পুরোনো ব্যাটারি বদলে নতুন একটা লাগিয়ে নিন। নিয়মিত ফোনের সফটওয়্যার হালনাগাদ করুন। যখন দেখছেন আপনার ফোনে নতুন হালনাগাদ পাওয়া যাচ্ছে না এবং ফোনের বিক্রয়োত্তর সেবার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে তখন অ্যান্ড্রয়েড ফোনের সর্বশেষ সফটওয়্যার ইনস্টল করার উপায় হলো কাস্টম সফটওয়্যার ইনস্টল করা। এর সবচেয়ে ভালো উৎস সায়ানোজেন মড (www.cyanogenmod.org)। আর স্মার্টফোনের সফটওয়্যার নিয়ে যেকোনো আলোচনা ও পরামর্শের জন্য এক্সডিএ ডেভেলপারস ফোরামে (forum.xda-developers.com) ঢুঁ মারতে পারেন। আইফোন ৪ ব্যবহারকারীরা আইওএস ৭-এ হালনাগাদ করার পর অনেকেই বলেছিলেন, না করলেই বরং ভালো হতো। এদিকে একবার হালনাগাদ করলে পেছনে ফিরে যাওয়ার সহজ উপায় নেই। সে ক্ষেত্রে নতুন হালনাগাদের ভয় না করে বরং হালানাগাদের অপশন সচল রাখুন।
মেরামতের কাজ নিজে সারতে না চাইলে মেরামতকারীর কাছে নিয়ে যান কিংবা অভিজ্ঞ কারও পরামর্শ নিন।
পুরোনো ফোনের কয়েকটি বিকল্প ব্যবহার হতে পারে এমন: * টিভি, এসির মতো ইলেকট্রনিকস পণ্যের রিমোট কন্ট্রোল যন্ত্র হিসেবে স্মার্টফোন ব্যবহার করা যায়। * অ্যালার্ম ঘড়ি হিসেবে ব্যবহার করে প্রতি সকালে ঘুম থেকে ওঠা কিংবা যেকোনো কাজ মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য ব্যবহার করতে পারেন। * স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির একদল স্বেচ্ছাসেবক কম্পিউটার, স্মার্টফোন এবং অন্যান্য যন্ত্রের প্রসেসিং ক্ষমতা ব্যবহার করে ২১ হাজার টেরাফ্লপ গতির সুপার কম্পিউটার তৈরি করে যা স্বাস্থ্য খাতে গবেষণায় ব্যবহার করা হয় (বিস্তারিত folding.stanford.edu)। আপনার ফোনের প্রসেসর সে কাজে ব্যবহার করতে পারেন। * গান শোনার যন্ত্র বা এমপিথ্রি প্লেয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। * অফলাইন জিপিএস হিসেবেও ব্যবহার করা যায়।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.