ভিডিও গেমসের ব্যবসায় হঠাৎ করেই চলে এসেছিলেন সামান্থা কিংস্টোন। কিন্তু তাঁর উন্নতি চোখে পড়ার মতো। দুই বছর আগে যখন সামান্থা একটি থিয়েটারের বিপণনে চাকরি করতেন, তখন সেখানকার একজন নিয়োগ পরামর্শক গেমসের জগতে তাঁকে পেশাজীবন গড়ার পরামর্শ দেন। ২৫ বছর বয়সী সামান্থা তখন সরাসরি সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন। এরপরও তাঁকে এন ড্রিমস নামের একটি গেম নির্মাতা প্রতিষ্ঠানে চাকরির জন্য ডাকা হয়। দক্ষিণ ইংল্যান্ডের এই প্রতিষ্ঠান ভার্চ্যুয়াল রিয়েলিটির হেডসেট বানিয়ে থাকে। সামান্থা যখন সেখানে যোগ দেবেন, তখন তিনি এ ব্যাপারে কিছুই জানতেন না। ‘আমি ভেবেছিলাম, আমি সেখানে যাব এবং সততার সঙ্গে বলব যে আমি গেমসের ব্যাপারে কিছুই জানি না।’ বলেন সামান্থা। তাঁর শুরুটা এ রকম আনাড়িভাবে হলেও আজ তিনি একটি সফল ভার্চ্যুয়াল রিয়েলিটি ব্যবসায়ের মালিক। তাঁর প্রতিষ্ঠানের নাম ভার্চ্যুয়াল আমব্রেলা। এ প্রতিষ্ঠান এরই মধ্যে পেয়েছে পুরস্কারও। গত বছরের মার্চে বন্ধু ও ব্যবসায়িক অংশীদার বার্টি মিলিসের সঙ্গে মিলে দাঁড় করান এই ভার্চ্যুয়াল আমব্রেলা। ভার্চ্যুয়াল আমব্রেলার ব্যবসা সম্পর্কে সামান্থা বলেন, ‘এটা খুব কঠিন ছিল। আমাদের সবকিছু নিজেদের শিখতে হয়েছে। আমাদের সাহায্য করার জন্যও তেমন কিছু ছিল না।’
গেমশিল্পে সামান্থার এমন উত্থান অন্য নারীদেরও উদ্বুদ্ধ করবে এটাই স্বাভাবিক। সম্প্রতি তিনি এক টুইট বার্তায় বলেছেন, মেয়েদের প্রযুক্তি খাতে ভালো করার সম্ভাবনা উজ্জ্বল। তবে তিনি এও জানান, কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে তিনি মেধার প্রতিই বেশি মনোযোগী।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.