বিয়ের সাজসজ্জা সব কিছুই প্রস্তুত, চলছে খাওয়া-দাওয়ার ধুম, একটু পরেই বর আসবে, বিয়ে হবে, তারপর অষ্টম শ্রেণির কিশোরী ছাত্রী শারমিন আক্তার (১৫) চলে যাবে স্বামীর বাড়ি, অতঃপর বাসরঘর। ঠিক তখনি বিয়ে বাড়িতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান নিয়ে উপস্থিত হলেন মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মনসুর উদ্দিন। কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার চাপিতলা ইউনিয়নের পুস্করিণীরপাড় গ্রামের সাহেবের টেক এলাকায় গতকাল দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে শ্রীরামপুর ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী শারমিন আক্তার (১৫)কে বাল্যবিবাহের কবল থেকে রক্ষা করে বিদ্যালয়ের ক্লাসে পাঠিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনসুর উদ্দিন। স্কুলছাত্রী শারমিন পুস্করিণীরপাড় গ্রামের প্রবাসী নাছির উদ্দিনের মেয়ে। বাল্যবিবাহ দেয়ার চেষ্টার অভিযোগে স্কুলছাত্রীর মা সাজেদা বেগম ও সহযোগিতার অভিযোগে চাচা হাবিবুর রহমান, শাহ আলম ও মোস্তফা প্রত্যেককে ১ হাজার করে মোট ৪ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এদিকে শারমিনের মা সাজেদা বেগম মেয়ের ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দিবেন না বলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নিকট মুচলেকা প্রদান করেন। ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকতা মমিনুল হক, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা পারভীন আক্তার, এস আই মো. মোস্তফা প্রমুখ। ইউএনও মনসুর উদ্দিন বলেন ১৮ বছর পূর্ণ হওয়ার আগে মেয়েদের স্থান শ্বশুরবাড়ি নয় বিদ্যালয়। একজান শিক্ষিত মা একটি শিক্ষিত জাতি গড়তে পারে। বাল্যবিবাহ বন্ধে প্রশাসন সর্বদা সজাগ ও সতর্ক রয়েছে।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.