লিবিয়া উপকূলে একদিনেই ৩৯টি নৌকা থেকে ৬ হাজারের বেশি অভিবাসী উদ্ধার করেছে ইতালিয়ান উপকূলরক্ষীরা। সমুদ্রে ডুবে প্রাণ হারিয়েছে অন্তত ২২ জন। গত সোমবার উপকূলরক্ষী কর্তৃপক্ষ জানায়, এটি একদিনে সবচেয়ে বেশি জীবিত অভিবাসী উদ্ধার করার রেকর্ড। এদিকে গতকাল মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, বিশ্বের অর্ধেক শরাণার্থীই ঠাঁই নিয়েছে মাত্র ১০টি দেশে, যদিও তাদের বিশ্ব অর্থনীতিতে অবদান মাত্র আড়াই শতাংশ। খবর রয়টার্স ও এএফপির।
সোমবার অন্য দিনের তুলনায় সমুদ্র কিছুটা কম উত্তাল ছিল। এ সুযোগ নিয়েই পাচারকারীরা অনেকগুলো অভিবাসী নৌকা নিয়ে রওনা দেয়। ৩২টি রাবারের নৌকা, পাঁচটি কাঠের নৌকা ও দুটি ছোট নৌকায় প্রায় ৬ হাজার ৫৫ জন শরণার্থী ছিল। লিবীয় উপকূলরক্ষীরা জানায়, ২২ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে তাদের মধ্যে ১১টি লাশ রাজধানী ত্রিপোলির পূর্বাঞ্চলীয় উপকূলের কাছে ভেসে আসে। পশ্চিমাঞ্চলীয় সাবরান্তা শহরে নৌকা ডুবে আরও দু’জনের প্রাণহানি ঘটে।
১০ দেশে আশ্রয় নিয়েছে বিশ্বের অর্ধেক শরণার্থী : বিশ্বের অর্ধেকের বেশি শরণার্থীকে ঠাঁই দিয়েছে ১০টি দেশ। বিশ্বের প্রবৃদ্ধিতে এ দেশগুলোর অবদান শতকরা ২.৫ ভাগ। এসব কথা বলেছে লন্ডনভিত্তিক মানবাধিকারবিষয়ক সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। বিশ্ব ২ কোটি ১০ লাখ শরণার্থীকে নিয়ে এক বিরাট চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছে। শরণার্থীদের শতকরা ৫৬ ভাগ ঠাঁই পেয়েছে মাত্র ১০টি দেশে। এর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে জর্ডান। এ দেশে আশ্রয় পেয়েছে ২৭ লাখ শরণার্থী। এর পরে রয়েছে তুরস্ক। সেখানে ঠাঁই পেয়েছে ২৫ লাখেরও বেশি শরণার্থী। এর পরে রয়েছে পাকিস্তান, লেবানন, ইরান, ইথিওপিয়া, কেনিয়া, উগান্ডা, কঙ্গো ও শাদ। এদিকে তুরস্ক থেকে গতকাল মঙ্গলবার গ্রিসের উপকূলে ২৮০ শরণার্থী পা রেখেছে। গ্রিসে বর্তমানে ১৪ হাজার ৪৫০ শরণার্থী অবস্থান করছে।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.