যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক দলের প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন নির্বাচনী জরিপে প্রতিদ্বন্দ্বী রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের চেয়ে ৭ শতাংশ এগিয়ে আছেন। অপরদিকে ৮ শতাংশ পিছিয়ে আছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। নিজেদের সর্বশেষ নির্বাচনী জরিপে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
৭ থেকে ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত চলা রয়টার্স/ইপসোস জরিপের ফল প্রকাশিত হয়েছে স্থানীয় সময় শুক্রবার। এতে দেখা যায়, বর্তমানে ৪৪ শতাংশ মার্কিন ভোটার হিলারি ক্লিনটনকে সমর্থন করছেন। অপরদিকে ট্রাম্পের ওপর সমর্থন আছে মাত্র ৩৭ শতাংশ ভোটারের।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে নতুন করে অভিযোগ তুলেছেন দুই নারী ক্রিস্টিন অ্যান্ডারসন ও সামার জেরভস। যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টকে ক্রিস্টিন বলেন, ১৯৯০-এর দশকে নিউইয়র্ক ক্লাবে ট্রাম্প তাঁর স্কার্টে হাত দিয়েছেন এবং আপত্তিকর স্থানে জোরপূর্বক স্পর্শ করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের টিভি ধারাবাহিক অ্যাপ্রেনটিসে সুযোগ পেতে পরীক্ষা দিতে আসা সামার বলেন, লস অ্যাঞ্জেলেসের হোটেলে জোর করে ট্রাম্প তাঁর ঠোঁটে চুমু দিয়েছেন এবং আপত্তিকর জায়গায় স্পর্শ করেছেন।
ডোনাল্ড ট্রাম্প এসব অভিযোগ মিথ্যা ও তাঁর বিরুদ্ধে কালিমালেপন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।
এর আগেও ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে কয়েক নারী জোরপূর্বক স্পর্শের অভিযোগ তোলেন। সেই প্রেক্ষাপটে মার্কিন ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামা বলেন, নারীদের প্রতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের আচরণ ‘বেদনাদায়ক ও মর্যাদাহানিকর’। নিউ হ্যাম্পশায়ারের এক প্রচারে মিশেল আরো বলেন, একজন নেতার মধ্যে মৌলিক মানের মানবিক শালীনতা থাকা উচিত।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যে এক নির্বাচনী প্রচারে ডোনাল্ড ট্রাম্প নারীদের জোরপূর্বক স্পর্শের অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, এ অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। তিনি দাবি করেন,তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা নারীরা ‘ভয়ংকর মিথ্যাবাদী’। আর সংবাদমাধ্যমগুলো গোপনে হিলারি ক্লিনটনের সঙ্গে আঁতাত করে চলছে।
এর আগে গত সপ্তাহে ট্রাম্পের একটি পুরোনো ভিডিও প্রকাশিত হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, বিবাহিত এক নারীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা এবং অপর নারীকে চুম্বন ও চেপে ধরার কথা দাম্ভিকতার সঙ্গে বলেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, তারকা হলে নারীদের সঙ্গে যা খুশি করা যায়। একই সঙ্গে নারীদের বিভিন্ন অঙ্গ নিয়েও মন্তব্য করেন তিনি।
ওই ভিডিও নিয়ে বিতর্কের জেরে রিপাবলিকান অনেক শীর্ষ নেতাই ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গ ছেড়েছেন। ট্রাম্পের অবস্থা অনেকটা স্বতন্ত্র প্রার্থীর মতোই বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.