এমনিতে আলাদা বিশেষত্ব রয়েছে ম্যাচটির। ইতিহাসের মাত্র দ্বিতীয় দিবারাত্রির টেস্ট ম্যাচ এটি। টেস্ট ক্রিকেটে পাকিস্তানের এটি ৪০০তম ম্যাচ। আবার এটি আজহার আলীর ক্যারিয়ারের ৫০তম টেস্টও। আর বিশেষ ম্যাচটিতে ব্যাট হাতে বিশেষ নৈপুণ্য দেখালেন পাকিস্তানের এ ওপেনার। দুবাইয়ে গোলাপী বল তুলাধুনা করে আজহার তুলে নিলেন ডাবল সেঞ্চুরি। এতে টেস্টের প্রথম ইনিংসে পাকিস্তানি কোনো ওপেনারের ডাবল সেঞ্চুরির ঘটনা দেখা গেলো দীর্ঘ দুই যুগ পর। সর্বশেষ ১৯৯২ সালে এমন কৃতিত্ব দেখান আমির সোহেল। দিবারাত্রির টেস্ট ম্যাচে আগের দিনের ১৪৮ রান নিয়ে গতকাল চা বিরতির পর পরই দ্বিশতক পূর্ণ করেন আজহার। এতে তিনি হাঁকান ১৯টি বাউন্ডারি ও একটি ছক্কা। এতে গতকাল প্রথম সেশনের পর পাকিস্তানের সংগ্রহ পৌঁছে ৪২৫/২-এ। ক্যারিয়ারে এটি আজহারের দ্বিতীয় দ্বিশতক। আজহার এ নিয়ে শতোর্ধ্ব রানের ইনিংস খেললেন ১১ বার। পাকিস্তানের টেস্ট ইতিহাসে শুরুর ৫০ ম্যাচে আজহারের চেয়ে বেশি সেঞ্চুরির কৃতিত্ব রয়েছে কেবল লিজেন্ডারি হানিফ মোহাম্মদ ও ইউনুস খানের। মোহাম্মদ ইউসুফেরও রয়েছে ১১টি সেঞ্চুরি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ওপেনিংয়ে ২১৫ রানের রেকর্ড জুটি গড়েন আজহার আলী ও সামি আসলাম। দ্বিতীয় উইকেটেও শতরানের জুটি দেখায় পাকিস্তান। গতকাল নিজের উইকেট দেয়ার আগে আসাদ শফিক করেন ৬৭ রান। দ্বিতীয় উইকেটে আজহার আলী ও শফিক গড়েন ১৩৭ রানের জুটি। সামি আসলাম করেন ৯০ রান। টেস্ট ম্যাচের প্রথম ইনিংসে পাকিস্তানের ওপেনিং জুটিতে ১৫০+ রানের ঘটনা দেখা গেলো ৫০ বছরে মাত্র তৃতীয়বার। দুবাই মাঠে ওপেনিং জুটিতে এটি সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। এখানে আগের রেকর্ডে ২০১০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার আলভারো পিটারসেন ও গ্রায়েম স্মিথ গড়েন ১৫৩ রানের ওপেনিং জুটি। গোলাপি বলে এটি ইতিহাসের দ্বিতীয় দিবারাত্রির টেস্ট। গেলো নভেম্বরে অ্যাডিলেডে ইতিহাসের প্রথম দিবারাত্রির টেস্ট ম্যাচে মাঠে নামে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.