আধুনিক প্রযুক্তিতে রোবটের ভূমিকা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। কারখানায় ভারী কাজ, উৎপাদন বৃদ্ধি বা দুর্গম এলাকায় কাজের জন্য রোবট ব্যবহারের প্রবণতা বাড়ছে। নতুন নতুন প্রযুক্তির রোবট নিয়েও বেশ কাজ হচ্ছে। মূলত মানুষের কাজ সহজ করার জন্যই রোবট প্রযুক্তির ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
এবার বিমান চালানোর জন্যও আলাদা করে রোবট নির্মাণ নিয়ে চলছে নানা রকম গবেষণা। প্রাথমিকভাবে কো-পাইলটের কাজ সুষ্ঠুভাবে করতে পারে এমন রোবট নির্মাণের জন্য কাজ করছেন বিজ্ঞানীরা। অর্থাৎ বিমান চালানোর মূল দায়িত্ব থাকবে একজন মানুষ পাইলটের হাতেই। কো-পাইলট হিসেবে রোবট ব্যবহারের কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে রোবট কখনো ক্লান্ত হবে না, দীর্ঘ ফ্লাইট পরিচালনা করা সম্ভব হবে।
এয়ারক্র্যাফট লেবার ইন-ককপিট অটোমেশন সিস্টেম বা অ্যালিয়াস নামের এই রোবট প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছে আরোরা ফ্লাইট সায়েন্সেস। এই প্রকল্পের ব্যয়ভার বহন করছে ডিফেন্স অ্যাডভান্সড রিসার্চ প্রজেক্টস। এ খবর জানিয়েছে নিউইয়র্ক পোস্ট।
এরই মধ্যে কো-পাইলট রোবটকে নিয়ে একটি ছোটখাটো পরীক্ষা চালিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। গত সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসির পার্শ্ববর্তী এলাকার একটি ছোট এয়ারপোর্টে সংক্ষিপ্ত ফ্লাইটে এই পরীক্ষাটি চালানো হয়।
এতে কো-পাইলট হিসেবে একটি সেসনা ক্যারাভান চালিয়েছে একটি রোবট। সঙ্গে অবশ্য একজন মানুষ পাইলট ছিলেন। ক্যারাভানের গতি কমানো, বাড়ানো বা দিক পরিবর্তনের মতো কাজগুলো বেশ স্বাচ্ছন্দ্যেই করতে পেরেছে রোবটটি।
‘আরোরা’র চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী জন লংফোর্ড বলেন, ‘এটা এক নতুন যুগের শুরু। মানুষ এবং রোবট মিলে কাজ করছে। এর সুবিধা পাবে সাধারণ মানুষ।’
প্রকল্পের বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, বিমান চালাতে পারে এমন রোবট নির্মাণে তারা নানা ধরনের গবেষণা করছেন। তারা এমন রোবট তৈরি করতে চাচ্ছেন যার মাধ্যমে হেলিকপ্টার, ছোট যাত্রীবাহী বা কার্গো বিমান চালানো যাবে। স্বয়ংক্রিয় গাড়ির প্রযুক্তির মতোই এ ধরনের স্বয়ংক্রিয় বা রোবটচালিত বিমান নির্মাণের জন্য গবেষণা করছেন বিজ্ঞানীরা।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.