সিলেটের কলেজছাত্রী খাদিজা আক্তার নার্গিসকে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টাকারী ছাত্রলীগ নেতা বদরুল আলমকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করেছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় বদরুলকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে জানিয়েছেন সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. কবির হোসেন।
গত ৩ অক্টোবর পরীক্ষা দিয়ে বের হলে এমসি কলেজ ক্যম্পাসে খাদিজাকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেন শাবি ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক বদরুল আলম। এর পরিপ্রেক্ষিতে পরদিনই বদরুলকে সাময়িক বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। একই সাথে ঘটনার তদন্তে ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর অধ্যাপক ড. রাশেদ তালুকদারকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় তোলা হলে বদরুল আলমকে স্থায়ী বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ।
বদরুলের গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার দক্ষিণ খুরমা ইউনিয়নের মুনিরজ্ঞাতি গ্রামে। তিনি ২০০৮-২০০৯ সেশনে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। অর্থনীতি বিভাগের একজন অনিয়মিত শিক্ষার্থী ছিলেন তিনি। ২০১৬ সালের মাঝামাঝি সময়ে শাবি ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষিত হলে তাকে কমিটিতে সহ-সম্পাদকের পদ দেয়া হয়। গত ৩ অক্টোবর খাদিজাকে কোপানোর পরই লোকজন তাকে পিটিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। এরপর থেকে হত্যাচেষ্টা মামলায় তিনি কারাগারেই আছেন। ইতিমধ্যেই খাদিজাকে হত্যাচেষ্টার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন বদরুল। বর্তমানে খাদিজা ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। কয়েকদিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর তার অবস্থা কিছুটা উন্নতির দিকে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.