চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিন থেকেই একের পর এক রিভিউ নিয়েছে দুই দলই। প্রথম ইনিংসে রিভিউ নেয়ার ঘটনাই ১০টি। টেস্টে এক ইনিংসে এত রিভিউর ঘটনা আগে কখনোই ঘটেনি। চতুর্থ পর্যন্ত দুই দল রিভিউ নিয়েছে ২৫ বার। ইংল্যান্ড নিয়েছে ১৩ বার, বাংলাদেশ ১২ বার। এরই মধ্যে আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত ভুল প্রমাণিত হয়েছে ১১ বার, যা একটি টেস্ট ম্যাচে রেকর্ড। প্রতি ৮০ ওভারে দুটি করে রিভিউ নেয়ার সুযোগ থাকে। এর মধ্যে দুটি ভুল রিভিউ নিয়ে শেষ হলে গেলে ৮০ ওভার পর নতুন দুটি রিভিউ পাবে সেই দল। তবে আগের দুটি রিভিউ থেকে গেলেও নতুন ৮০ ওভারে সেই দুটি রিভিউই থাকে। এই টেস্টে দুটি দল এখন পর্যন্ত এতগুলো রিভিউ নিতে পেরেছে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সফল রিভিউয়ের জন্য। যে ২৫ বার রিভিউ নেয়া হয়েছে, এর মধ্যে আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত ভুল প্রমাণিত হয়েছে ১১ বার। কুমারা ধর্মসেনার সিদ্ধান্তই ভুল প্রমাণিত হয়েছে সাতবার। বাকি চারটি ক্রিস গ্যাফেনির। প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে আম্পায়ারের ভুল সিদ্ধান্ত থেকে বেঁচে যাচ্ছে ব্যাটিং কিংবা ফিল্ডিং দল। এটা ঠিক, স্পিন-সহায়ক উইকেটে আম্পায়ারদের ভুল করার প্রবণতা তুলনামূলক বেড়ে যায়। কিন্তু ভুলটা যদি খুব ঘন ঘন হতে থাকে, আম্পায়ারদের দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে বাধ্য। বিশেষ করে চট্টগ্রাম টেস্টে এতবার রিভিউ নেয়া হয়েছে, যাতে মনে হতে পারে আম্পায়ারদের ভুলের সুযোগে দুই দলই রিভিউ নেয়ার খেলায় মেতেছে! এমন নয় এই টেস্টে আম্পায়াররা ওই ১০ বারই ভুল করেছেন। মাত্র দুটি সফল রিভিউ করা যায় বলে অধিনায়কেরা রিভিউ নেয়ার সময় বেশ ভাবেন। অনেক সময় রিভিউ নেবেন নেবেন করে নেনও না। পরে রিপ্লেতে দেখা যায়, রিভিউ নিলেই ঠিক হতো। এই টেস্টেই যেমন মেহেদী হাসান উইকেটবঞ্চিত হয়েছেন মুশফিক রিভিউ না নেয়ায়। গতকাল যেমন ইমরুলের বিপক্ষে একটি আবেদনে রিভিউ নিলেন না কুক। অথচ ইমরুল আউট হয়ে যেতেন রিভিউটা নিলে। রিভিউ না নিলেও এ সিদ্ধান্তগুলোও ভুল দিয়েছেন আম্পায়াররা। এক টেস্টের চার দিনে যদি ১৩-১৪টি ভুল সিদ্ধান্ত দেন, আম্পায়ারিং নিয়ে প্রশ্ন তো উঠেই।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.