ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের আগে ঘোষণা করা হয়েছিল ১৪ সদস্যের দল। কিন্তু শেষ টেস্টের আগে নির্বাচকরা ঘোষণা করলেন ১৫ সদস্যের। সেখানে চমক হিসেবে জায়গা করে নিয়েছেন ১০ বছর ধরে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলা রংপুরের ২৭ বছর বয়সী পেসার শুভাশিষ রায়। আরো আছেন গত মাসে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে অভিষেক হওয়া মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। ময়মনসিংহের ২০ বছর বয়সী এই তরুণ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ার শুরু করতে চেয়েছিলেন ওয়ানডে দিয়ে। কিন্তু তার অভিষেক হয় এ বছর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি দিয়ে। জাতীয় দলের জার্সি গায়ে শুরুটা তার ভালো না হলেও বছর শেষ হওয়ার আগেই আফগানদের বিপক্ষে ওয়ানডেতে দারুণ শুরু করেন। এরপর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেছেন ওয়ানডে সিরিজও। তবে ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির ১৮ ম্যাচে ৭ সেঞ্চুরি ও ৬ ফিফটিতে ৭০.৮৯ গড়ে ১৯৮৫ রান করা মোসাদ্দেকের জায়গা হয়নি প্রথম টেস্টে। কিন্তু প্রথম টেস্টে লেজের ব্যর্থতায় হারের পর এবার সৈকতকে নিয়ে ভাবতে হয়েছে নির্বাচকদের। শুধু ব্যাটই নয়, বল হাতেও আলো ছড়ানোর সামর্থ্য আছে এই তরুণের। টেস্ট দলে ডাক পাওয়াকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন এই তরুণ। তিনি বলেন, ‘জাতীয় দলে ডাক পাওয়া মানেই চ্যালেঞ্জ। প্রথম টি-টোয়েন্টি, এরপর ওয়ানডে, এবার টেস্ট। আমি বলবো, প্রতিটি স্টেপই আমার জন্য আলাদা করে চ্যালেঞ্জ নিয়ে আসছে। সেই চ্যালেঞ্জে নিজেকে প্রমাণ করতে হবে।’ ঘরোয়া ক্রিকেটে মোসাদ্দেক সাধারণতঃ খেলে থাকেন চার অথবা পাঁচ নাম্বারে। টেস্ট দলে সুযোগ এলে তার এই পজিশনে খেলা কঠিন। কারণ, তামিম, ইমরুল, মুমিনুল, সাকিব, মুশফিক, এরপর মাহমুদুল্লাহ ও সাব্বির তো আছেনই। তাই তাকে জায়গা দিতে দলে কমাতে হতে পারে একজন বাহাতি স্পিনার কিংবা খেলতে হতে পারে একজন পেসার নিয়ে। কিন্তু ঢাকাতে মিরপুর টেস্টে উইকেট কেমন হবে তার ওপরই নির্ভর করছে এই তরুণের টেস্ট অভিষেক। দলে একাদশে সুযোগ পেলে কোন পজিশনে খেলতে চান এমন প্রশ্নের জবাবে সৈকত বলেন, ‘আসলে আমার পছন্দের জায়গা ওয়ান ডাউন বা টু ডাউন। ঘরোয়া ক্রিকেটে চার বা পাঁচ নাম্বারেই খেলি। কিন্তু জাতীয় দলে তা কঠিন। তাই দল যেখানে আমাকে পাঠাবে আমার সর্বাত্মক চেষ্টা থাকবে সেখানেই খেলা। এখন পজিশন নিয়ে ভাবছি না।’
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.