বানিজ্যিক গান অনেক করেছি। এটা সময়ের দাবিও বটে। তবে বানিজ্যিকের পাশাপাশি এখন আমি এমন কিছু গান করতে চাই যার মাধ্যমে শ্রোতারা আমাকে আজীবন মনে রাখবেন। সেই চিন্তা থেকেই তাহসান ভাইয়ের সঙ্গে ‘অনুভবে তুমি’ এবং শেয়েব ভাইয়ের সঙ্গে ‘অপেক্ষার পর’ গান দুটি করা। আর গেলো ঈদে ‘অবুঝ পাখি’ অ্যালবামটিও অনেকটা সেরকমই। এখন থেকে বানিজ্যিক গানও করবো, আর নিজের পছন্দের গানও করবো। সেই লক্ষ্য নিয়েই কাজ করছি-এভাবেই গান নিয়ে নিজের চিন্তা-ভাবনার কথা ব্যক্ত করেন হালের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী বাঁধন সরকার পূজা। বর্তমানে গান নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি। বিশেষ করে স্টেজ শো করছেন নিয়মিত। পাশাপাশি নতুন বেশ কিছু গানের কাজ করছেন। সব মিলিয়ে এখন কি অবস্থা? কেমন চলছে দিনকাল? পূজা বলেন, অনেক ভালো। গানের ব্যস্ততার মধ্যে দিয়েই যাচ্ছে। নতুন গানের কাজ করছি। তবে খুব বেছে বেছে। পাশাপাশি স্টেজ শোও চলছে। পড়াশোনায়ও সময় দিচ্ছি। সব মিলিয়ে ভালোই কাটছে সময়। গেলো কোরবানি ঈদেতো নতুন একক ‘অবুঝ পাখি’ প্রকাশ হয়েছিলো। এই অ্যালবামের সাড়া কেমন মিলছে? পূজা বলেন, আমি যা চিন্তা করেছিলাম তার থেকে বেশি সাড়া মিলেছে। কারণ এ অ্যালবামে তিনটি গান ছিলো। বানিজ্যিক গান যেমন ছিলো তেমনি নিজের পছন্দমত গানও করেছি। এরই মধ্যে বেলাল ভাইয়ের সঙ্গে আমার গাওয়া ‘অবুঝ পাখি’ গানটির মিউজিক ভিডিও প্রকাশ হয়েছে। এর সাড়া অনেক ভালো পাচ্ছি। তাছাড়া ইমরানের সঙ্গে করা ‘বোঝেনা হিয়া’ গানটির মিউজিক ভিডিও হয়নি, কিন্তু শ্রোতারা অডিওতেই গানটি খুব পছন্দ করছেন। এখনকার ব্যস্ততা কি নিয়ে? নতুন কিছু গানের পরিকল্পনা করেছি। ভিন্নধর্মি কিছু গান করতে চাই। তারই ধারাবাহিকতায় ‘ফানুশ’ নামের একটি গান করেছি। এ গানটির কথা ও সুর রচনা করেছেন তানজীব সারোয়ার। আর সংগীতায়োজন করেছেন বিবেক মজুমদার। তাদের সঙ্গে এটাই আমার প্রথম কাজ। তানজীব সারোয়ারের গানের স্টাইল আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। ‘ফানুশ’ গানটিও সেরকম একটি কাজ। খুব শিগগিরই গানটি প্রকাশ করবো। আশা করছি এটা একটি বড় চমক হবে শ্রোতাদের জন্য। এছাড়াও আরও কয়েকটি গান করবো। আর সামনের বছরে পরবর্তী একক করার ইচ্ছে রয়েছে। নতুন গানের বাইরে প্লেব্যাক ও স্টেজ শো চলছে। সর্বশেষ হাসিবুর রেজা কল্লোল পরিচালিত ‘সত্ত্বা’ ছবিতে একটি গান গেয়েছিলাম। বাপ্পা মজুমদারের সুর ও সংগীতে এ গানটিতে আমার সহশিল্পী ছিলেন পান্থ কানাই। চলতি প্রজন্মের একজন শিল্পী হিসেবে অডিও ইন্ডাস্ট্রির অবস্থা কেমন মনে হচ্ছে? পূজা বলেন, ইন্ডাস্ট্রির অবস্থাতো এখন ভালো। কারণ শ্রোতারা ডিজিটালি এখন গান শুনছেন। তাই প্রকাশকরাও ডিজিটালি গান রিলিজ দিচ্ছেন। সিডির কাটতি এখন নেই বললেই চলে। ডিজিটালি গান প্রকাশনায় পুরোনো কোম্পানিগুলোও যোগ দিয়েছে। এ কারণেই চলতি বছর অনেক বেশি অ্যালবাম প্রকাশ হয়েছে এখন পর্যন্ত। এই ধারবাহিকতাটা অব্যাহত থাকবে আশা করি। চলতি সময়ের গান দীর্ঘস্থায়ি হচ্ছে না, এরকম অভিযোগ রয়েছে। এ সম্পর্কে আপনার বক্তব্য কি? পূজা বলেন, এই বিষয়ের সঙ্গে আমি পুরোপুরি একমত নই। কারণ এখন অনেক ভালো গান হচ্ছে। খারাপ গান যে হচ্ছে না তা নয়। তবে এখন খারাপগুলো বর্জন করে ভালো গানগুলোই নিচ্ছে শ্রোতারা। এটা একটি ইতিবাচক দিক। আর গান দীর্ঘস্থায়ি হবে কিনা সেটা তো এখনই বলা যাবে না। সেটার জন্য আরও অনেক বছর অপেক্ষা করতে হবে। যুগে যুগে আসলে ভালো গানগুলোই টিকে থাকে, এটা আমি সিনিয়রদের কাছ থেকেও জেনেছি, বুঝেঝি ও শিখেছি। সে কারণে ভালো গান করার চেষ্টা আমার সব সময় থাকে। সংগীতে পারিবারিক সাপোর্ট কেমন পাচ্ছেন? পূজা বলেন, অনেক বেশি পাই। আমার বাবা ও মা আমাকে যে উৎসাহ ও সহযোগীতা করেন সেটা না হলে আজকের পূজা হতে পারতাম না। আর আমার দুই বোনও আমাকে অনেক সাপোর্ট করে। পারিবারিক সাপোর্ট ছাড়া আসলে ভালোভাবে এগুনো যায় না।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.