ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার বালিপাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের নেতা আবদুল বারীর বাসায় হামলার ঘটনা ঘটছে। এ সময় লুটপাট ও গুলিবর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাই এ হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন আবদুল বারী।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে এ হামলা হয়।
আবদুল বারী বালিপাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি। তিনি জামালপুর কমিউটার, মহুয়া কমিউটার ও বলাকা কমিউটার ট্রেনের সাব-এজেন্ট। তাঁর বাড়িতে হামলার খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
আবদুল বারী অভিযোগ করে বলেন, বালিপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং চেয়ারম্যান গোলাম হোসেন বাদলের ছেলে ছাত্রলীগকর্মী আদনান শতাধিক সহযোগীকে নিয়ে তাঁর বাড়িতে আক্রমণ করে। এ সময় ৪০ লাখ টাকা, ১৫ ভরি স্বর্ণালংকার ও কোটি টাকা মূল্যের ট্রেনের টিকেট লুট করে নিয়ে যায় হামলাকারীরা। আতঙ্ক ছড়াতে তারা প্রায় ১৫টি গুলি করে।
আবদুল বারী আরো বলেন, আদনান ও সহযোগীরা লুটপাটের সময় তাঁর স্ত্রী, সন্তান ও বাসার অন্য নারীদের মারধর করে। এ সময় বাসার ভেতর থেকে আসবাব বের করে রাস্তায় এনে আগুন ধরিয়ে দেয় লুটপাটকারীরা।
হামলাকারীরা পরে বালিপাড়া যুবলীগের অফিসে হামলা ও ভাঙচুর করে বলেও জানান আবদুল বারী। তাঁর অভিযোগ, যুবলীগের অফিসে তাঁকে হত্যার জন্য গুলি চালানো হয়। কিন্তু তিনি দৌড়ে পালিয়ে প্রাণে বাঁচেন।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম হোসেন বাদল। তিনি বলেন, ট্রেনের টিকেট কালোবাজারি করে বিক্রি এবং অতিরিক্ত মূল্য নেওয়ার প্রতিবাদ করায় বারীর লোকজন তাঁর ভাইকে মারধর করে।
বারীর উদ্দেশে বাদল বলেন, ‘বারী কী করে দুই কোটি টাকার মালিক হলেন? তাঁর নামে দুদকে মামলা করা উচিত।’
হামলার ব্যাপারে ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান বলেন, ‘ঘটনা সত্য। দলীয় বিরোধ থেকেই হামলার ঘটনা ঘটছে। তবে গুলি বর্ষণের ঘটনা সঠিক নয়।’
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.