গোবিন্দগঞ্জের সাঁওতাল পল্লীতে হামলা, হত্যা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার ১০ দিন পর মামলা হয়েছে। বুধবার রাতে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ থানায় অজ্ঞাত ৬০০ ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন আদিবাসী নেতা স্বপন মুর্মু। মামলায় অভিযুক্তদের মধ্যে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গত ৬ নভেম্বর রংপুর চিনিকলের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিকরা পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে বাগদা ফার্মের জমিতে আখ কাটতে যায়। এসময় আদিবাসী সাঁওতালদের সাথে সংঘর্ষ হয়। দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় ৯ পুলিশ সহ ৩০ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া। পরে ওই দিন কয়েক দফা সংর্ষের পর বিকেলে আবারও সংঘর্ষ হয়। এসময় স্থানীয় লোকজন বাগদা ফার্মের শ্রমিকরা আদিবাসী পল্লীতে হামলা চালায় এবং অগ্নিসংযোগ করে উচ্ছেদ করে। আদিবাসীরা ভয়ে ১০ দিনেও তারা মামলা করতে পারেনি কারো বিরুদ্ধে। বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুব্রত কুমার সরকার জানান, বুধবার রাতে আদিবাসী নেতা স্বপন মুমর্ুু বাদী হয়ে ৫ থেকে ৬ শ জনের বিরুদ্ধে গোবিন্দগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলার পর পুলিশ গোবিন্দগঞ্জের সাঁওতালপল্লীর আশেপাশের গ্রাম থেকে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মানিক সরকার, চয়ন মিয়া, বাদশা মিয়া, আব্দুর রশিদ মিয়া ও শাহ নেওয়াজ।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.