‘পুরনোদের মধ্যে শাহরিয়ার নাফীস, মেহেদী মারুফ, নাসির হোসেন দারুণ খেলছে। আমি এরই মধ্যে যা বার্তা দেয়ার দিয়ে দিয়েছি। কোচ ও নির্বাচকদের সঙ্গে কথা বলেছি। যেন বিপিএল-এ ভালো পারফরমারদের জাতীয় দলের সঙ্গে যুক্ত করা যায়।’ বিপিএল’র পারফরম্যান্স দেখে কথাগুলো বলেছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। বরিশাল বুলসের হয়ে শাহরিয়ার নাফীস এই পর্যন্ত ৩টি ফিফটি হাঁকিয়েছেন। ৪৯.০০ গড়ে করেছেন ১৯৬ রান। এমন পারফরম্যান্সের পর তাকে জাতীয় দলে ডাকার চিন্তাটা খুবই স্বাভাবিক। এরই মধ্যে নিউজিল্যান্ড সফরের জন্য ২২ সদস্যের প্রাথমিক দল ঘোষণা করেছে বিসিবি। সেখানে নাফীসের নাম না থাকলেও তাকে রাখা হয়েছে চার জনের অপেক্ষমাণ তালিকাতে। সভাপতির এই বক্তব্যের ভীষণ খুশি শাহরিয়ার নাফীস। তিনি বলেন, ‘আমাদের ক্রিকেটের অভিভাবক এখন তিনি। যখন সর্বোচ্চ পর্যায়ের কারও কাছ থেকে এমন প্রশংসা পাওয়া যায় তখন সত্যি ভালো লাগে। আমি তার এই কথায় ভীষণভাবে অনুপ্রাণিত। আমি মনে করি তার এই বক্তব্য আমাকে আরো ভালো করার পথ দেখাবে। কারণ বিপিএল’র এই আসরের পারফরম্যান্স বিবেচনা করা হবে। মাত্র ৫টি ম্যাচ খেলেছি। আরও ৭টির মতো ম্যাচ খেলার সুযোগ আছে। তাই সামনের ম্যাচগুলোতেই আমাকে আরো ভালো করতে হবে।’ জাতীয় দলের হয়ে ২০১৩ সালে টেস্ট, ২০১১ সালে ওয়ানডে ও ২০০৬ সালে সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন শাহরিয়ার নাফীস। তার দল থেকে বাদ পড়ার অন্যতম কারণ ছিল ফিটনেস। তবে গেল বছরগুলোতে তিনি ফিটনেসের উন্নতিতে অনেক সময় দিয়েছেন। এছাড়াও ব্যাটিংয়ের ভুলগুলো শুধরে নিতে কাজ করেছেন দেশীয় কোচ নাজমুল আবেদীন ফাহিমের সঙ্গে। নিজেকে ছন্দে ফিরে পাওয়ার বিষয়ে নাফীস বলেন, ‘আসলে পরিশ্রম করেছি অনেক। বিশেষ করে ফিটনেসটার উন্নতি করা ছিল খুবই প্রয়োজন সেখানে মন দিয়েছি। এছাড়াও ব্যাটিং নিয়ে আলাদাভাবে কাজ করেছি ফাহিম স্যারের সঙ্গে। এখনও আরও পরিশ্রম করতে হবে। তবে সব কিছুর জন্য আল্লাহ্তায়ালার কাছে শুকরিয়া জানাই। কারণ তার রহমত ছাড়া কোনো কিছুতেই ভালো করা সম্ভব নয়।’ বরিশাল বুলসের হয়ে প্রতিটি ম্যাচেই তিনি মাঠে নেমে ঝড় তুলেছেন। আসরে নিজের প্রথম ফিফটি করেছিলেন ৩৪ বলে। এরপরের ফিফটিটি তিনি হাঁকান ৪০ বলে। চার-ছয় হাঁকাচ্ছেন নির্ভয়ে। টিকে থেকে রানের অংকটা আরো বড় করতে পারতেন তিনি। কিন্তু দলের প্রয়োজনেই তিনি ব্যাট চালাচ্ছেন বলে জানান। নাফীস বলেন, ‘দেখেন, আমার কাছে দলের প্রয়োজন সবার আগে। দলের জন্য যেভাবে ব্যাট করতে হবে সেই ভাবেই করবো। যদি কম বলে বেশি রান করতে হয় তা করবো। আবার টিকে থাকার প্রয়োজন হলে সেটিই করবো। আউট হওয়া নিয়ে চিন্তা করিনি।’
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.