ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিয়ে ইউরোপ সফরে যেমনটা বলেছিলেন, লাতিন আমেরিকায়ও অনেকটা সে সুরেই কথা বললেন বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। বললেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিয়ে এখনই নেতিবাচক কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছা উচিত হবে না। তাঁকে আরেকটু সময় দেওয়া উচিত।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে সর্বশেষ বিদেশ সফরের শেষ প্রান্তে আছেন ওবামা। পেরুর রাজধানী লিমায় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অর্থনৈতিক সহযোগিতা সংস্থার (অ্যাপেক) সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন তিনি। লিমায় যাওয়ার আগে সফর করেছেন ইউরোপের দুই দেশ গ্রিস ও জার্মানি। সেখানেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী ট্রাম্পের ব্যাপারে বিশ্ববাসী, বিশেষ করে ইউরোপীয় মিত্রদের আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেন ওবামা।
গত শনিবার লিমায় তরুণদের সঙ্গে এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে বারাক ওবামা বলেন, ‘আপনাদের জন্য আমার বার্তা…এবং ইউরোপে আমি যে বার্তা দিয়ে এসেছি তার মূলে হলো, এখনই সবচেয়ে খারাপ কিছু ভেবে নেওয়ার দরকার নেই। আগে সরকার গঠন করতে দিন। তাদের নীতিমালাগুলো তৈরির সুযোগ দিন। তারপর আপনি মূল্যায়ন করতে পারবেন।’
ওবামা আরও বলেন, ট্রাম্প আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য কল্যাণকর এবং একসঙ্গে শান্তি ও সমৃদ্ধির পথে অগ্রগতির সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন, না অন্য পথে হাঁটছেন, সেই সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে সময় লাগবে। তিনি বলেন, ‘যেভাবে নির্বাচনী প্রচারণা চালানো হয়, সরকার পরিচালনা সেভাবে হয় না। তাই আমি আবারও বলব, নির্বাচিত নতুন প্রেসিডেন্টকে সময় দিন।’
সিএনএন জানিয়েছে, ট্রাম্প সরকারের সময়ে যুক্তরাষ্ট্র-লাতিন আমেরিকার সম্পর্কের বড় ধরনের কোনো পরিবর্তন আসবে না বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন ওবামা। তবে বাণিজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে অস্থিতিশীল অবস্থা বিরাজ করতে পারে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
গণতন্ত্র নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ওবামা বলেন, ‘গণতন্ত্র নির্বাচনের থেকেও বেশি কিছু। এটা কোনো কোনো ক্ষেত্রে হতাশাজনক হতে পারে; কেননা, এতে আপনি যা চান, তা শতভাগ পাবেন না।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হতে পারেন রমনি: ট্রাম্প তাঁর অন্যতম কড়া সমালোচক মিট রমনির সঙ্গে বৈঠক করেছেন গত শনিবার। ট্রাম্প তাঁর হবু প্রশাসনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পদে রমনিকে বিবেচনা করছেন বলে মার্কিন গণমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে। নিউজার্সিতে ট্রাম্পের এক গলফ কোর্সে প্রায় ৮০ মিনিট দুজনের বৈঠক চলে। পরে ট্রাম্প বলেন, রমনির সঙ্গে তাঁর ‘চমৎকার’ আলোচনা হয়েছে। আর রমনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়েছে বৈঠকে। ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচনে বিজয়ী মাইক পেনস গতকাল জানান, পররাষ্ট্রমন্ত্রী পদের জন্য তাঁরা মিট রমনির নামও বিবেচনা করছেন।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.