বৃটেনের প্রত্যাশা নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়ার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবেন। এমন মন্তব্য করেছেন বৃটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী স্যার মাইকেল ফ্যালন। রাশিয়াকে ‘সমান অংশীদার’ হিসেবে গণ্য না করতেও ট্রাম্পের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। এ খবর দিয়েছে বৃটিশ দৈনিক টেলিগ্রাফ। প্রচারাভিযান চলাকালে রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রতি প্রশংসাসূচক বিভিন্ন মন্তব্য করেন ট্রাম্প। তবে ফ্যালন ইঙ্গিত দিয়েছেন, প্রেসিডেন্টের দায়িত্বভার নেয়ার পর হয়তো এমন সুর বদলাবেন তিনি। রেডিও ৪-এর টুডে অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে বৃটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘ক্যাম্পেইন চলাকালে প্রেসিডেন্ট-ইলেক্ট ট্রাম্পের বাগাড়ম্বর আর তিনি বাস্তবে যা করবেন, তাকে আলাদা করে দেখতে হবে। বাস্তবে প্রত্যেক আমেরিকান প্রশাসনই সবসময় রাশিয়ার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিল। আমরা বলছি না যে, রাশিয়ার সঙ্গে কথা বলা উচিত নয় আপনার। কিন্তু রাশিয়াকে আর দশটা কাজের মতো, বা সমান অংশীদারের মতো বিবেচনা করতে পারবেন না।’ স্যার ফ্যালনের ভাষায়, ‘ক্রিমিয়া ও ইউক্রেনে যা করেছে রাশিয়া, তা স্পষ্টতই আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন। এটি কখনই ভুলে যাওয়া চলবে না।’ তিনি বলেন, ন্যাটোকে ‘পরখ’ করছেন পুতিন। আর তা মোকাবিলার অংশ হিসেবে পোল্যান্ডে ১৫০ জন বৃটিশ সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। তার ভাষ্য, ‘আমি মনে করি, পুতিন আমাদের জোটকে পরখ করে দেখছেন। আমাদেরকে অবশ্যই এর জবাব দিতে হবে। আমাদেরকে স্পষ্ট করে দিতে হবে যে, ন্যাটো একটি আত্মরক্ষামূলক জোট। কিন্তু, যেসব সদস্য রাষ্ট্র খুবই অরক্ষিত, বিশেষ করে পূর্বাঞ্চলীয় অংশের দেশগুলো, তাদের প্রতিরক্ষায় এগিয়ে আসতে ন্যাটো প্রস্তুত।’ তিনি মনে করেন, ‘ন্যাটোর সদস্য রাষ্ট্রগুলোর জন্য এখন খুবই গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে জোটকে ঐক্যবদ্ধ রাখা। ন্যাটো সদস্য দেশগুলোর প্রতিরক্ষা ব্যয় বাড়ানো উচিত। পোল্যান্ড ও বৃটেন তাদের ২ শতাংশ প্রতিরক্ষা ব্যয়ের অঙ্গীকার পালন করছে। পাশাপাশি, যেসব সদস্য খুবই অরক্ষিত বোধ করে, তাদেরকে আশ্বস্ত করা উচিত ন্যাটোর।’ তিনি সিরিয়ায় রক্তপাতের অবসান ঘটাতে আসাদ সরকারের ওপর নিজেদের প্রভাব খাটাতে রাশিয়ার প্রতি আহ্বান জানান। ফ্যালন মনে করেন রাশিয়া চাইলে কালই এই গৃহযুদ্ধের অবসান ঘটবে। বৃটিশ মন্ত্রী স্বীকারোক্তির সুরে বলেন, ‘হ্যাঁ, শেষ পর্যন্ত আমরা এই গৃহযুদ্ধ থামাতে পারবো না। এ জন্য রাশিয়াকে নিজেদের দায়িত্ব মেনে নিতে হবে ও যুদ্ধ থামাতে হবে। আলেপ্পোয় মানবিক ত্রাণ সহায়তা প্রবেশ করতে দিতে হবে।’
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.