এক সপ্তাহ আগের ঘটনা। হঠাৎ একটা উপহারের বাক্স আর একটা চিঠি নিয়ে এক সতীর্থ এসে দাঁড়িয়েছিলেন থিয়াগুইনহোর কাছে। কী আছে? কার চিঠি? থিয়াগুইনহোর জিজ্ঞাসু মনে প্রশ্ন তখন।
মাটিতে বসেই তাই উপহারটা একদিকে সরিয়ে রেখে, তড়িঘড়ি খাম খুলেছিলেন বাইশের থিয়াগুইনহো। কে লিখেছে চিঠি, সেটাই জানার যে ইচ্ছেটা ছিল সবচেয়ে বেশি।
মনে মনে চিঠিটা পড়তে শুরু করেন। আর পড়তে পড়তে, শেষ লাইনে পৌঁছতেই লাফিয়ে ওঠেন। সামনে দাঁড়িয়ে থাকা সতীর্থকে জড়িয়ে ধরেন। তারপর একে একে বাকি সতীথরা ঘিরে ধরে শুরু করেন লাফালাফি।
থিয়াগুইনহোকে কে লিখেছে চিঠি, সতীর্থরা সবাই জানতেন। তার উচ্ছ্বাসের কারণটা কী, সেটাও কারও জানতে বাকি ছিল না।
থিয়াগুইনহোর যে সত্যিই আনন্দ করারই কথা। বাবা হতে চলেছেন তিনি। সেই খবরই স্ত্রী চিঠি লিখে জানিয়েছিলেন।
সারপ্রাইজ দেয়ার এই ভঙ্গিতে দারুণ মজা পেয়েছিলেন থিয়াগুইনহো সেদিন। ভাবী সন্তানকে নিয়ে স্বপ্নের জাল বুনতে শুরু করেছিলেন ওই মুহূর্ত থেকে। কিন্তু সব স্বপ্ন, সব উচ্ছ্বাস মিলিয়ে গেল এক সপ্তাহ বাদে।
মঙ্গলবার মেডিলিন বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়া বিমানটি মাঝ আকাশে যখন বিদ্যুৎ বিভ্রাটের জেরে ভেঙে পড়ল পাহাড়ি অঞ্চলে, তখন ওই বিমানের যাত্রী ছিলেন থিয়াগুইনহো।
শাপেকোয়েন্সেরই ফুটবলার ছিলেন তিনি। থিয়াগুইনহোর পরিবারের তরফেই প্রকাশ করা হয়েছে, বাবা হওয়ার খবর পাওয়ার তার সেই উচ্ছ্বাসের মুহূর্তের ছবি। গত সপ্তাহে সেমিফাইনালের ম্যাচে দ্বিতীয় গোলটিও করেছিলেন শাপেকোয়েন্সের এই স্ট্রাইকার। কিন্তু এক সপ্তাহের মধ্যে সে সব মুহূর্ত যে স্মৃতি হয়ে যাবে, কে জানত?
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.