আশ্চর্য হওয়ার মতো অনেক কিছুই রয়েছে এই পৃথিবীতে। বিভিন্ন যুগে নানা স্থান ও স্থাপত্য চিহ্নিত করে সপ্তাশ্চর্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
প্রাচীন যুগ, মধ্য যুগ ও আধুনিক যুগে বিভক্ত করে নানা সময়ে সপ্তাশ্চর্যের তালিকায় স্থান পেয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন স্থান। এর ফলে আশ্চর্যজনক ওই স্থান ও স্থাপত্য পরিচিতি পেয়েছে বিশ্বজুড়ে।
এছাড়া সপ্তাশ্চর্য নির্ণয়ে প্রাথমিক তালিকায় নাম এসেছে আরও অনেক স্থান ও স্থাপত্যের। প্রতিযোগিতার কারণে অনেক কিছুই এই তালিকায় স্থান না পেলেও বিশ্বজুড়ে পরিচিতি পেয়েছিল।
তবে এমন কিছু স্থান রয়েছে যা বর্তমান আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থার পরও মানুষের কাছে অপরিচিত রয়ে গেছে। সম্প্রতি অখ্যাত আশ্চর্য কিছু ছবি প্রকাশ করেছে বিবিসি।
মালির গ্রেট মসজিদ। ১৯০৭ সালে আফ্রিকা মহাদেশের মালির ডিজনি শহরে এই মসজিদের নির্মাণ কাজ শেষ হয়।
ভাওয়ালপুরের দেরাওয়ার ফোর্ট। এখানে ১৭৩৩ সালে একটি দেওয়াল তৈরির কাজ শুরু করেন ভাওয়ালপুরের তৎকালীন নবাব। দেড় হাজার মিটার লম্বা এবং ৩০ মিটার উঁচু ওই দেওয়ালের নির্মাণ কাজ শেষ হয় ১৭৪৭ সালে।
ভারতের গ্রেট ওয়াল। ভারতের পশ্চিমাঞ্চলের রাজস্থান রাজ্যের রাজসামান্দ জেলায় পঞ্চদশ শতকে এই দেওয়াল নির্মাণ করা হয়। দেশটির দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে একটি অন্যতম।
চাঁদ বাওরি দেওয়াল। রাজস্থানের জয়পুরের কাছে আভানেরি গ্রামে বহুস্তরবিশিষ্ট ভারসাম্য এই দেওয়ালটি ৮০০ থেকে ৯০০ সালের মধ্যে নির্মাণ করা হয়। এটি প্রায় ১০০ ফুট প্রশস্ত। ভারতের দীর্ঘতম এবং গভীরতম বহুস্তরবিশিষ্ট দেওয়ালে মধ্যে এটি অন্যতম।
বসনিয়ার স্ট্যারি ব্রিজ। দেশটির নেরেতভা নদীর উভয় পাড়ের মশ্টের শহরের ২ প্রান্তকে সংযুক্ত করেছে এই ব্রিজটি। ১৬শ শতাব্দীতে প্রথমবার এই ব্রিজের পুনর্নির্মাণ কাজ করা হয়। ৪২৭ বছরের পুরোনো এই ব্রিজটি। ক্রোট-বসনিয়া যুদ্ধে ১৯৯৩ সালের ৯ নভেম্বর ওই ব্রিজটি ধ্বংস করা হয়। সংস্কার কাজের পর ২০০৪ সালের ২৩ জুলাই এটি আবার জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.