চাঁদপুর শহরের বকুলতলা এলাকায় রেললাইনের পাশে অবৈধভাবে দোকানঘর নির্মাণের কাজ আবার শুরু হয়েছে। গত ২২ নভেম্বর গভীর রাত থেকে অন্তত আটটি দোকান নির্মাণের এ কাজ শুরু হয়। চাঁদপুর রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উছমান গণি পাঠান প্রথম আলোকে বলেন, চাঁদপুর-লাকসাম রেলপথের চাঁদপুর কোর্ট স্টেশন এলাকার বকুলতলায় গত ৫ সেপ্টেম্বর প্রথম দোকান নির্মাণের কাজ শুরু হয়। ওই সময় স্থানীয় ছাব্বির ছৈয়াল, আকবর পাটওয়ারী, বাদশা ভূঁইয়া ও শাহাদাত হোসেন অবৈধভাবে রেললাইনের পাঁচ ফুটের মধ্যে আটটি পাকা দোকানঘর নির্মাণ শুরু করেন। এ ঘটনায় রেলওয়ের লাকসামে কর্মরত ও চাঁদপুরের দায়িত্বপ্রাপ্ত ঊর্ধ্বতন উপসহকারী প্রকৌশলী রাম নারায়ণ ধর নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে চাঁদপুর রেলওয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগ পেয়ে তিনজন শ্রমিককে আটক করা হয়। দুবার নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। ওই সময় রেললাইনের পাশে আর দোকানের নির্মাণকাজ করবেন না বলে চারজন মুচলেকা দেন। চাঁদপুর রেলওয়ে থানার ওসি আরও বলেন, ‘ কাজ বন্ধ করে দেওয়ার পরও রাতের অন্ধকারে মার্কেট নির্মাণের কাজ চলছে বলে অভিযোগ পাচ্ছি। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই নির্মাণশ্রমিকেরা পালিয়ে যান।’ এ বিষয়ে গত বৃহস্পতিবার অভিযুক্ত ছাব্বির ছৈয়াল, আকবর পাটওয়ারী, বাদশা ভূঁইয়া ও শাহাদাত হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি। এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, একটি চক্র ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ওই স্থানে দোকান নির্মাণের নামে ২৪ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। সেপ্টেম্বরে পুলিশ ওই নির্মাণকাজ বন্ধ করে দিলে ব্যবসায়ীরা ওই চক্রের সদস্যদের কাছে তাঁদের টাকা ফেরত চান। এই পরিপ্রেক্ষিতে রেলওয়ের স্থানীয় কয়েকজন অসাধু কর্মকর্তার সঙ্গে চক্রটির সমঝোতা হয়। পরে ২২ নভেম্বর রাত থেকে আবার নির্মাণকাজ শুরু হয়। রেলওয়ের চট্টগ্রাম বিভাগীয় ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) আবুল কালাম চৌধুরী বলেন, রেলওয়ের স্থানীয় থানার ওসিকে অবৈধ নির্মাণকাজ বন্ধ করার জন্য বলা হয়েছে। এ ছাড়া ঘটনা তদন্তের জন্য চট্টগ্রাম বিভাগীয় প্রকৌশলী-১-কে (ডিএন) দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্তের পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.