চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলো নিশ্চিত হয়ে গেছে আগেই। কিন্তু বরুসিয়া ম’গ্লাডবাখের বিপক্ষে জিতে নিজেদের উজ্জীবিত করার একটা ব্যাপার ছিল বার্সেলোনার। এই ম্যাচের আগে টানা তিনটি ড্র—বার্সেলোনার আত্মবিশ্বাসটাকে তলানিতেই ফেলেছিল। বিশেষ করে শনিবার ‘এল ক্লাসিকো’য় শেষ মুহূর্তে সার্জিও রামোসের গোলে জয়-বঞ্চিত হওয়ার দুঃখটা যেন কুড়ে খাচ্ছিল বার্সাকে। রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে ম্যাচে জয়-বঞ্চিত হওয়ার দুঃখ হয়তো ম’গ্লাডবাখের বিপক্ষে জয় দিয়ে ভোলা যাবে না। কিন্তু জয় জয়ই। বিশেষ করে বড় জয় তো দলকে উজ্জীবিত করে দারুণভাবে। কাল ম’গ্লাডবাখের বিপক্ষে ৪-০ গোলের স্বস্তিই এনে দিচ্ছে বার্সেলোনা শিবিরে। মজার ব্যাপার হচ্ছে এল ক্লাসিকোয় বার্সার ‘খলনায়ক’ই কাল ম’গ্লাডবাখের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করে বনে গেলেন ‘নায়ক।’
রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে ম্যাচে আরদা তুরানকে নিয়ে সমালোচনার অন্ত ছিল না সমর্থকদের। তাঁর ফাউল থেকে পাওয়া ফ্রিকিকই ছিল সার্জিও রামোসের সমতাসূচক গোলের উৎসমুখ। কিন্তু কাল তুরান তেড়ে-ফুড়েই যেন নিজেকে প্রমাণ করলেন। এটি বার্সেলোনার হয়ে তুরানের প্রথম হ্যাটট্রিক।
বার্সেলোনার হয়ে অপর গোলটি লিওনেল মেসির। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো চ্যাম্পিয়নস লিগে সর্বকালের সেরা গোলদাতা হয়ে বসে আছেন আগেই। পর্তুগিজ তারকার সঙ্গে কাল নিজের গোলসংখ্যার ব্যবধানটা আরও এক গোল কমিয়ে এনেছেন মেসি। চ্যাম্পিয়নস লিগে রোনালদোর ৯৫ গোলের পাশাপাশি মেসির গোলসংখ্যা ৯৩। আর দুটি গোলে রোনালদোকে ছুঁয়ে ফেলবেন তিনি। আর তিনটি গোলে ছাড়িয়ে যাবেন চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীকে। কিন্তু রোনালদোও নিশ্চয়ই এ সময় বসে থাকবেন না। সুতরাং লড়াইটা চলতেই থাকবে।
কাল ম’গ্লাডবাখের বিপক্ষে পাসিংয়ের নতুন রেকর্ড গড়েছে বার্সেলোনা। পুরো ম্যাচে বার্সার খেলা ৯৩৩টি পাস চ্যাম্পিয়নস লিগে নতুন এক রেকর্ড।
খেলার ১৬ মিনিটে আরদা তুরানের সঙ্গে ওয়ান টু খেলে দলকে এগিয়ে দেন মেসি। প্রথমার্ধে এক গোলেই এগিয়ে ছিল বার্সেলোনা।
দ্বিতীয়ার্ধটা একেবারেই তুরানের। এই অর্ধের ৫০, ৫৩ ও ৬৭ মিনিটে নিজের হ্যাটট্রিক পূরণ করেন এই তুর্কি স্ট্রাইকার। ৫০ মিনিটের গোলটি হেডে লক্ষ্যভেদ। ৫৩ মিনিটে ভিদালের বাড়ানো বলে নিচু শটে। ৬৭ মিনিটে হ্যাটট্রিক পূরণ করার গোলটি আসে আলকাসেরের বাড়ানো বলে।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.