বাংলাদেশ ছাত্রলীগ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ২৫তম সম্মেলন আজ বৃহস্পতিবার। বিশ্ববিদ্যালয়ের শাবাশ বাংলাদেশ মাঠে সম্মেলন অনুষ্ঠানের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। সম্মেলনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য ৭০ জন নেতা-কর্মী জীবনবৃত্তান্ত জমা দিলেও নেতৃত্বের দৌড়ে এগিয়ে আছেন ৬ জন। সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানকের। এ ছাড়া বিশেষ অতিথি থাকবেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, কার্যনির্বাহী সদস্য ও রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘নেতৃত্ব নির্বাচনে প্রথমে আমরা দেখি তার ছাত্রত্ব আছে কি না, বয়স আছে কি না, বিবাহিত কি না এবং অতীতে কোনো অভিযোগ আছে কি না। এরপর চিন্তা করি কাকে দিলে বিশ্ববিদ্যালয় ভালো চলবে। শিক্ষার্থীবান্ধব মেধাবী, সৎ ও যোগ্যদেরই নেতৃত্বে নিয়ে আসা হবে।’ ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবারের সম্মেলনে সংগঠনের শীর্ষ ২ পদের জন্য ৭০ জন প্রার্থীর মধ্যে ৬ জনের সম্ভাবনা খুব বেশি। তাঁরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের ২ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাহানুর ইসলাম শাকিল ও গোলাম কিবরিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু, সহসভাপতি মেহেদী হাসান রাসেল, সদস্য সাকিবুল হাসান বাকি ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিনারুল ইসলাম। তবে এই ৬ জনের মধ্যে ৩ জন বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত কোর্সের ছাত্র নন। ২০১৩ সালে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের ২৪তম সম্মেলনে বাগমারা উপজেলার মিজানুর রহমানকে সভাপতি এবং বাঘা উপজেলার তৌহিদ আল হোসেন তুহিনকে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি করা হয়। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে প্রথমে তৌহিদকে সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে অব্যাহতি ও পরে মিজানুর রহমানকে বহিষ্কার করা হয়। এরপর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন রাশেদুল ইসলাম ও খালিদ হাসান। তাঁরা দুজনই বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী এলাকার বাসিন্দা। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিটিতে বরাবরই রাজশাহীর স্থানীয় নেতাদের প্রাধান্য দেওয়া হয়—এমন অভিযোগ এবারের সম্মেলনের মূল আলোচ্য বিষয়। তবে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে কথা বলে আভাস পাওয়া গেছে, এবারের কমিটির শীর্ষ পদ দুটিতে একজন রাজশাহীর স্থানীয় ও একজন রাজশাহীর বাইরের নেতা জায়গা করে নিতে পারেন।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.