সীমিত সম্পদ থাকার পরও বাংলাদেশ এখানে আশ্রয়প্রার্থীদের সর্বোচ্চ সহায়তা করছে। অন্য সব দেশকেও একইভাবে এগিয়ে আসা উচিত বলে মনে করেন পররাষ্ট্রসচিব মো. শহীদুল হক। অভিবাসন নিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক সম্মেলন গ্লোবাল ফোরাম অন মাইগ্রেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (জিএফএমডি) নবম সম্মেলনের নাগরিক সমাজের সমাপনী অধিবেশনে এবারের সম্মেলনের চেয়ারম্যান পররাষ্ট্রসচিব এ কথা বলেন। ঢাকায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে গতকাল শুক্রবার বেসরকারি সংস্থা ও নাগরিক প্রতিনিধিদলের দুই দিনের এই সম্মেলন শেষ হয়। এতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রায় ৩০০ প্রতিনিধি যোগ দেন। আজ শনিবার থেকে শুরু হবে সরকারি পর্যায়ের আলোচনা। এতে বিভিন্ন দেশের মন্ত্রী, উপমন্ত্রী ও সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তারা অংশ নেবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সকালে সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন। গতকাল সমাপনী অধিবেশনে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, ‘গত দুই দিনে নাগরিক সমাজ যেসব বিষয়ে আলোচনা করেছে, এখন সেগুলো কার্যকর করতে হবে।’ অভিবাসন ইস্যুতে বিশ্ব সম্প্রদায় একটি গ্লোবাল কমপ্যাক্ট প্রণয়নে ঐকমত্যে পৌঁছানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। এর মাধ্যমে অভিবাসন, শরণার্থী ও মানব পাচারবিষয়ক সমস্যার সমাধান খোঁজা হবে। ২০১৮ সালে বিশ্বনেতারা এ চুক্তিটি অনুমোদন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। পররাষ্ট্রসচিব বলেন, ‘২০১৮ সালে যে চুক্তিতে আমরা পৌঁছাব, সে জন্য বসে থাকলে চলবে না। টেকসই উন্নয়নের যে লক্ষ্যমাত্রা আছে, সেটি বাস্তবায়ন করতে হবে। এ জন্য সারা বিশ্বের নাগরিক সমাজকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে।’
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.