তাঁকে যাঁরা নিয়মিত অনুসরণ করেন, তাঁরা দেখেছেন পরিবর্তনটা। চুলের রং বদলে ফেলেছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। ব্যালন ডি’অরের সোনালি ট্রফিটা জেতার আগে চুলটাও সোনালি না হলে মানায় নাকি!
কারণটা বলে দিয়েছে বার্সেলোনা-ভিত্তিক স্প্যানিশ দৈনিক মুন্ডো দেপোর্তিভো। পত্রিকাটির দাবি, রোনালদো যে ব্যালন ডি’অর জিতছেন, এরই মধ্যে সেটি জেনে গেছেন। পর্তুগিজ উইঙ্গারকে সেটা এরই মধ্যে জানানোও হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী, ব্যালন ডি’অর জয়ীর নাম ঘোষিত হওয়ার পর বিজয়ীর একটা সাক্ষাৎকার ছাপে ফ্রান্স ফুটবল সাময়িকী। মুন্ডো দেপোর্তিভোর ফুটবল সাংবাদিক ফ্রানসেস্ক অ্যাগুইলার তো লিখেই দিয়েছেন, গত বৃহস্পতিবারই রোনালদোর সেই সাক্ষাৎকার নিয়ে রেখেছে ফ্রান্স ফুটবল। আজ রাতে আনুষ্ঠানিকভাবে শুধু তাঁর নামটা ঘোষণাই বাকি। আর রোনালদো যেহেতু জানেনই, পুরস্কারের জন্য আগাম প্রস্তুতি নিতে সমস্যা কী!
শুধু রোনালদোই নন, মনে হচ্ছে রিয়াল মাদ্রিদের অনেকেও জানেন ব্যাপারটা। নইলে কি আর রিয়াল কোচ জিনেদিন জিদান এত নিশ্চিন্তে বলতে পারেন, ‘আমি তো মনে করি এবার পুরস্কার কে জিতছে, এ নিয়ে কোনো বিতর্কই নেই। ব্যালন ডি’অর এবার রোনালদোরই।’
১৯৫৬ সালে শুরু হওয়ার পর টানা ৫৪ বছর ব্যালন ডি’অর পুরস্কারটি ছিল ফ্রান্স ফুটবল ম্যাগাজিনের একক সম্পত্তি। সাংবাদিকদের ভোটে দেওয়া হতো ইউরোপের বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের এই পুরস্কার। ওদিকে ১৯৯১ থেকে সব সদস্যদেশের কোচ ও অধিনায়কদের ভোটে ফিফা আলাদাভাবে দিয়ে আসছিল ‘ফিফা ওয়ার্ল্ড প্লেয়ার অব দ্য ইয়ার’ পুরস্কার। কিন্তু ২০১০ সালে ফিফার সঙ্গে ফ্রান্স ফুটবল-এর চুক্তির পর দুটি পুরস্কার এক হয়ে যায়। মাত্র ছয় বছর একীভূত থাকার স্মৃতি পেছনে রেখে এই বছর আবার আলাদা হয়েছে ফিফা ওয়ার্ল্ড প্লেয়ার অব দ্য ইয়ার ও ব্যালন ডি’অর।
২০০৮ সালে রোনালদো নিজের প্রথম ব্যালন ডি’অর জেতার পর ২০০৯ থেকে শুরু করে টানা চারবার জেতেন মেসি। চার বছর পর ২০১৩ সালে মেসিকে সিংহাসন থেকে সরিয়ে সেখানে বসেন রোনালদো। পরের বছরও ফুটবলের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ এই পুরস্কারটা রিয়ালের পর্তুগিজ উইঙ্গারেরই ছিল। গত বছর মেসি সেই মুকুট পুনরুদ্ধার করেন। মুন্ডো দেপোর্তিভোর খবর সত্যি হলে, সোনালি ট্রফিটা হাত বদল হয়ে এবার আবার যাচ্ছে রোনালদোর কাছে।
আর না হলে? চুলের রংটা হয়তো আবার বদলাতে হবে রোনালদোকে!
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.