দীর্ঘ চার বছর পর ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখা ছাত্রলীগের নতুন কমিটি ঘোষণা করার কথা থাকলেও কমিটি ঘোষণা নিয়ে নানান টালবাহানা চলছে। নতুন কমিটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে গভীর উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা কাজ করছে পদপ্রত্যাশী নেতা-কর্মীদের মাঝে।
গত ১ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কর্মী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভা শেষে তিন দিনের মধ্যেই নতুন কমিটি ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি মো. সাইফুর রহমান সোহাগ। কিন্তু প্রায় অর্ধমাস পেরিয়ে গেলেও এখনো হয়নি ছাত্রলীগের কমিটি।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের ধারণা, কমিটি ঘোষণার পর নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দিতে পারে। এই আশঙ্কায় কমিটি ঘোষণা করতে বিলম্ব করা হচ্ছে। আবার অনেকেই বলছেন কমিটিতে যারাই আসবে তাদেরকে স্বাগত জানানো হবে। এই অবস্থায় কমিটি ঘোষণা না দেয়াতে নেতা-কর্মীদের মাঝে চাপা ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
ছাত্রলীগের বর্তমান নেতারা বলছেন, প্রার্থীদের তথ্যাদি যাচাই-বাছাই করার জন্য কমিটি দিতে দেরি হচ্ছে। ১৬ই ডিসেম্বরের পরপরই এ কমিটির ঘোষণা সম্ভব হবে বলে তারা জনান।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মাহমুদুর রহমান জনি’র কাছে নতুন কমিটি ঘোষণা করতে দেরি হওয়ার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ক্যাম্পাস থেকে যারা পদপ্রার্থী রয়েছে তাদের পূর্ণাঙ্গ তথ্য-উপাত্ত নেয়া হচ্ছে এবং তথ্য-উপাত্ত নেওয়া প্রায় শেষ। আগামী ১৬ ডিসেম্ব বিজয় দিবস উদযাপনের পরপরই কমিটির ঘোষণা দেওয়া হবে।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ-সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রাজীব আহমেদ রাসেল একই তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ চলছে। কিছুদিনের মধ্যেই কমিটি ঘোষণা করা হবে।’
কমিটি ঘোষণার বিষয়ে জানার জন্য বুধবার দুপুরের পর থেকে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি মো. সাইফুর রহমান সোহাগের সঙ্গে মুঠোফোনে কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলে তিনি ফোন ধরেননি। এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ-সম্পাদক এসএম জাকির হোসাইনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলে তিনি রিসিভ করেননি।
এদিকে নতুন কমিটি ঘোষণা নিয়ে পদপ্রত্যাশীরা গভীর উৎকণ্ঠায় আছেন। ছাত্রলীগের নতুন নেতৃত্বে কে আসছেন তা নিয়ে দলীয় নেতা-কর্মী, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনসহ সকলে অধীর আগ্রহে মুখিয়ে আছেন। আবার নতুন কমিটি নিয়ে বিভিন্ন গুজব ছড়ানো হচ্ছে বলেও কয়েকজন নেতা-কর্মী অভিযোগ করেন।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.