ঘরোয়া ক্রিকেটে বছরটা দুর্দান্তই গেল রকিবুল হাসানের। গত মার্চে বিসিএলে সেঞ্চুরি করেছেন দুটি। এর মধ্যে আছে ২২৮ রানের দুর্দান্ত ইনিংসও। সেঞ্চুরি পেয়েছেন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগেও। বছরটা তাঁর শেষ হতে যাচ্ছে সেঞ্চুরি দিয়েই। কাল ফতুল্লায় জাতীয় লিগের পঞ্চম রাউন্ডের প্রথম দিনে খুলনার বিপক্ষে খেলেছেন ১১১ রানের ঝলমলে এক ইনিংস। রকিবুলের সেঞ্চুরিতে দিনটা নিজেদের করে নিয়েছে ঢাকা বিভাগ। ঢাকা বিভাগকে ভালো শুরু এনে দেন আবদুল মজিদ-জয়রাজ শেখ। উদ্বোধনী জুটিতে ৬৯ রান যোগ করার পর ২ রানের মধ্যে আউট দুই ওপেনার। তৃতীয় উইকেটে সাইফ হাসান-রকিবুলের ১৮০ রানের জুটি এগিয়ে নেয় ঢাকাকে। রকিবুল পেয়ে যান প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তাঁর দশম সেঞ্চুরি। ৭৪ বলে ফিফটি, সেটিকে তিন অঙ্কে রূপ দিতে তাঁর লেগেছে আরও ৫৭ বল। আবদুর রাজ্জাককে বাউন্ডারি মেরে ছুঁয়েছেন সেঞ্চুরি। আউট হয়েছেন বাঁহাতি স্পিনারের বলেই। সাইফ অপরাজিত ৮৯ রানে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের অধিনায়কের সর্বোচ্চ ইনিংস এটি। বিপিএলে ভালো খেলে মেহেদী মারুফ যোগ দিয়েছিলেন জাতীয় দলের প্রস্তুতি ক্যাম্পে। সিডনি-নিউজিল্যান্ড থেকে নিয়ে আসা আত্মবিশ্বাসটা কাজে লাগিয়েছেন জাতীয় লিগে। তবে কাল ইনিংসটা আরও বড় হতে পারত ঢাকা মহানগরের ওপেনারের। বিকেএসপিতে বরিশালের বাঁহাতি স্পিনার মনির হোসেনের বলে এলবিডব্লু হওয়ার আগে মারুফ করেছেন ৫৬ রান। সাদমান ইসলাম-মারুফের ওপেনিং জুটিতে ৮১ রান তোলার পর ৬০ রানের মধ্যে ৫ উইকেট হারায় মহানগর। ৭ উইকেটে ২৫৫ রানে দিন শেষ করার আগে ৪৮ রানে অপরাজিত ছিলেন মেহরাব হোসেন জুনিয়র। বাংলাদেশের চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে কাল প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৭ হাজার রানের মাইলফলক ছুঁয়েছেন মহানগরের মোহাম্মদ আশরাফুল। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে রাজশাহীর বিপক্ষে শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে চট্টগ্রাম। ৭৬ রানে তারা হারায় ৪ উইকেট। তবুও চট্টগ্রাম যে প্রথম দিনে ৮ উইকেটে ২৭৭ করেছে, সেটি পঞ্চম উইকেটে ইরফান শুক্কুর-তাসামুল হকের ১৬৭ রানের জুটির সৌজন্যে। ফরহাদ রেজার বলে ইরফান এলবিডব্লু ৯০ রানে আর তাসামুল অপরাজিত ৮৯ রানে। সিলেটে রংপুরের বিপক্ষে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়েছে সিলেটের। জাকের আলী-রাহাতুল ফেরদৌসের অবিচ্ছিন্ন সপ্তম উইকেটে ৬০ রানের জুটির সুবাদে ৬ উইকেটে ২০৩ রান তুলে দিন শেষ করেছে সিলেট। সংক্ষিপ্ত স্কোর ঢাকা মহানগর-বরিশাল, বিকেএসপি ঢাকা মহানগর প্রথম ইনিংস: ৯৬ ওভারে ২৫৫/৭ (মারুফ ৫৬, মেহরাব জু. ৪৮*, সাদমান ৩৩, সৈকত ২৯; মনির ৩/৫১, সালমান ২/৫০)। ঢাকা বিভাগ-খুলনা, ফতুল্লা ঢাকা বিভাগ প্রথম ইনিংস: ৮২ ওভারে ৩০৩/৪ (রকিবুল ১১১, সাইফ ৮৯*, জয়রাজ ৪৫, ; রাজ্জাক ২/৯০)। চট্টগ্রাম-রাজশাহী, চট্টগ্রাম রাজশাহী প্রথম ইনিংস: ৮৮.২ ওভারে ২৭৭/৮ (ইরফান ৯০, তাসামুল ৮৯*, নাফিস ৫১ ; সাকলাইন ৪/৪৪, ফরহাদ রেজা ৩/৫৪)। সিলেট-রংপুর, সিলেট সিলেট প্রথম ইনিংস: ৮৬ ওভারে ২০৩/৬ (জাকের ৬৩*, ইমতিয়াজ ৩০, রাজিন ২৫; সোহরাওয়ার্দী ৩/৫৮)।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.