প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা (পিইসি) ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় এবার পাস করেছে ৩০ লাখ ৩৫ হাজার ২৫০ খুদে শিশু। চলতি বছর প্রাথমিক শিক্ষা অষ্টম শ্রেণিতে উন্নীত হওয়ার পর পঞ্চম শ্রেণি শেষে এই পরীক্ষা হবে কি না তা নিয়েই দোলাচলে ছিল শিক্ষার্থীরা।
কিন্তু নানা আলোচনা-সমালোচনা শেষে পরীক্ষা চালু রাখা হয়। এসবের মধ্যেও গড়ে শিশুরা সাফল্যের ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে। কিন্তু প্রাথমিকের এই সাফল্যে ব্যত্যয় ঘটিয়েছে নতুন জাতীয়করণ হওয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। সব সূচকেই তারা পিছিয়ে রয়েছে।এ বছর পিইসিতে পাসের হার ৯৮.৫১ শতাংশ এবং ইবতেদায়িতে ৯৫.৮৫ শতাংশ। গত বছর পিইসিতে পাসের হার ছিল ৯৮.৫২ শতাংশ আর ইবতেদায়িতে ছিল ৯৫.১৩ শতাংশ। পিইসিতে পাসের হার শূন্য দশমিক ১ শতাংশ কমলেও ইবতেদায়িতে বেড়েছে দশমিক ৭২ শতাংশ। দুই পরীক্ষা মিলিয়ে গড় পাসের হার বেড়েছে। এবার পিইসিতে জিপিএ ৫ পেয়েছে দুই লাখ ৮১ হাজার ৮৯৮ জন শিক্ষার্থী আর ইবতেদায়িতে পেয়েছে পাঁচ হাজার ৯৪৮ জন। গত বছর পিইসি ও ইবতেদায়িতে জিপিএ ৫ পেয়েছিল যথাক্রমে দুই লাখ ৭৫ হাজার ৯৮০ ও ছয় হাজার ৫৪১ জন। এবার দুই পরীক্ষা মিলিয়ে জিপিএ ৫ প্রাপ্তির সংখ্যা বেড়েছে পাঁচ হাজার ৩২৫।
এবার ১৫ ধরনের বিদ্যালয় থেকে সমাপনী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে শিশুরা। তবে আগের মতোই সরকার পরিচালিত বিদ্যালয়গুলোই পিছিয়ে আছে। সব ধরনের সুবিধা থাকার পরও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর চেয়ে বেসরকারি বিদ্যালয়গুলোই বেশি ভালো করেছে। আর নতুন জাতীয়করণ হওয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো পাসের হারে পিছিয়ে থাকার পাশাপাশি জিপিএ ৫ প্রাপ্তিতেও একেবারে পেছনে অবস্থান করছে। নতুন ২৫ হাজার ৫৫২টি সরকারি বিদ্যালয়ের পাঁচ লাখ ৮৯ হাজার ৩৪১ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাস করেছে ৯৭.৩৮ শতাংশ। জিপিএ ৫ পেয়েছে মাত্র ১২ হাজার ৬৫৬ জন। তবে এসব বিদ্যালয়ে গত বছরের চেয়ে জিপিএ ৫ কম পেয়েছে ৩৬৬ জন। এমনকি শতভাগ পাসের দিক থেকেও পিছিয়ে এই স্কুলগুলো।
বিদ্যালয়ের ধরন অনুযায়ী পিইসিতে এবার সর্বোচ্চ পাসের হার পিটিআইসংলগ্ন পরীক্ষণ বিদ্যালয়ে। ওই সব বিদ্যালয়ে পাসের হার ৯৯ দশমিক ৯৫ শতাংশ। এ ছাড়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে ৯৯ দশমিক ৮৮ শতাংশ, উচ্চ বিদ্যালয়সংযুক্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৯৯ দশমিক ৩৩, কিন্ডারগার্টেনে ৯৯ দশমিক ২৭, মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৯৯ দশমিক ২৭, ব্র্যাক পরিচালিত বিদ্যালয়ে ৯৮ দশমিক ৯৮, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৯৮ দশমিক ৭০, এক হাজার ৫০০ বিদ্যালয় স্থাপন প্রকল্পের বিদ্যালয়ে ৯৮ দশমিক ৬৩, অস্থায়ী ও অনুমতিপ্রাপ্ত বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৯৭ দশমিক ৯৬, নতুন জাতীয়করণ হওয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৯৭ দশমিক ৩৮, রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৯৮ দশমিক ২১ শতাংশ, এনজিও পরিচালিত বিদ্যালয়ে ৯৭ দশমিক ৩৭, কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৯৭ দশমিক ২৫, নন-রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৯৬ দশমিক ৫৫ এবং শিশুকল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৯৪ দশমিক ৬৭ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে।
এই ১৫ ধরনের বিদ্যালয়ের মধ্যে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নতুন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, প্রকল্পের বিদ্যালয়, শিশুকল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে পরিচালিত হয়। এই স্কুলগুলোরই ফল বেশি খারাপ হয়েছে। পরীক্ষণ বিদ্যালয় ও মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ও অধিদপ্তর থেকে পরিচালিত হয়। তবে তারা ভালো করেছে।
শিক্ষাবিদরা বলছেন, নতুন জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের যোগ্যতার ঘাটতি রয়েছে। কারণ এসব স্কুলের অনেক শিক্ষকই টাকার বিনিময়ে নিয়োগ পেয়েছেন। এ ছাড়া এত দিন এই স্কুলগুলোতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের কোনো মনিটরিং ছিল না। শিক্ষকরা ইচ্ছামতো আসতেন আবার যেতেন। ছিল না তেমন প্রশিক্ষণও। আর ২০১৩ সালে একযোগে প্রায় ২৬ হাজার স্কুল জাতীয়করণ করা হলেও শিক্ষকরা এখন ব্যস্ত রয়েছেন তাঁদের সরকারীকরণের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে। ফলে ভালো ফল করতে পারছে না এসব স্কুলের শিক্ষার্থীরা। আর মোট স্কুলের প্রায় ৪০ শতাংশ এই ক্যাটাগরিতে থাকায় প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে এই স্কুলগুলো।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘সরকারি স্কুলগুলোর সবচেয়ে বেশি সমস্যা শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাত। এ ছাড়া অনেক স্কুলের অবকাঠামোও ভালো নয়। কিন্তু এনজিও পরিচালিত স্কুলগুলো এবং ভালো বেসরকারি বিদ্যালয়গুলোতে সেই সমস্যা নেই। দেখা যায়, সরকারি স্কুলে একটি ক্লাসে ৬০ জন বাচ্চা থাকে, কিন্তু বেসরকারিতে থাকে ৩০ জন। স্বাভাবিকভাবেই বেসরকারি স্কুলের শিক্ষকরা তাঁদের শিক্ষার্থীদের প্রতি বেশি মনোযোগ দিতে পারেন। অবিলম্বে এই শিক্ষক সংকট দূর করতে হবে। আর নতুন জাতীয়করণকৃত বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষকদের মান একেবারেই ভালো নয়। তাদের জন্য বিশেষ কোনো ব্যবস্থা নিতে হবে। তবে পঞ্চম শ্রেণির এই পর্যায়ে কোনো জাতীয় পরীক্ষা থাকা উচিত নয়। প্রয়োজনে ধারাবাহিক মূল্যায়নের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। ’
পাসের হার ছাত্রী ৯৮.৪৩%, ছাত্র ৯৮.২৩% : ফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, উভয় পরীক্ষায়ই ছাত্রদের চেয়ে ছাত্রীরা ভালো করেছে। এবার পিইসিতে অংশ নেয় ১২ লাখ ৯০ হাজার ২৯৫ জন ছাত্র এবং ১৫ লাখ ৪০ হাজার ৪৩৯ জন ছাত্রী। এদের মধ্যে পাস করেছে ১৫ লাখ ১৮ হাজার ২১০ জন ছাত্রী আর ১২ লাখ ৭০ হাজার ২২২ জন ছাত্র। ছাত্রীদের পাসের হার ৯৮.৪৩ শতাংশ আর ছাত্রদের পাসের হার ৯৮.২৩ শতাংশ। এক লাখ ৫৩ হাজার ৭৮৬ জন ছাত্রী জিপিএ ৫ পেয়েছে। অন্যদিকে ছাত্রদের মধ্যে জিপিএ ৫ পেয়েছে এক লাখ ২৮ হাজার ১১২ জন। ফলে পিইসিতে পাসের হার ও জিপিএ ৫ প্রাপ্তিতে এগিয়ে আছে মেয়েরা।
ইবতেদায়িতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে এক লাখ ২৫ হাজার ১৬০ জন ছাত্র আর এক লাখ ২১ হাজার ৬৫৮ জন ছাত্রী। ছাত্রীদের পাসের হার ৯৮.০৭ শতাংশ এবং ছাত্রদের ৯৭.৪০ শতাংশ। তবে তিন হাজার ১০২ জন ছাত্র আর দুই হাজার ৮৪৬ জন ছাত্রী জিপিএ ৫ পেয়েছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান গতকাল সকাল ১০টায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে ফলের অনুলিপি তুলে দেন। এরপর সচিবালয়ে দুপুর ১টায় এক সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত ফল তুলে ধরা হয়। এরপর থেকেই শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন মাধ্যমে তাদের ফল জানতে পারছে। যেকোনো মোবাইল ফোন থেকে এসএমএস করে, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট এবং নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ফল জানতে পারছে শিক্ষার্থীরা। তবে ওয়েবসাইট বা এসএমএসে ফল জানতে বেশ বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। একটি ফল জানতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়।
এবার পিইসিতে অংশ নেয় ২৮ লাখ ৩০ হাজার ৭৩৪ শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে পাস করে ২৭ লাখ ৮৮ হাজার ৪৩২ জন। অন্যদিকে ইবতেদায়িতে এবার অংশ নেয় দুই লাখ ৫৭ হাজার ৫০০ জন। পাস করে দুই লাখ ৪৬ হাজার ৮১৮ জন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘মানুষের প্রত্যাশা অনুযায়ী প্রাপ্তি হয় না। বেসরকারি স্কুলগুলোয় শতভাগ পাস করলেও তাতে উদ্বেগের কিছু নেই। সরকারি স্কুলের সংখ্যা ও শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি। এসব স্কুলে শিক্ষকের ঘাটতি রয়েছে। তবে আমরা নানা উদ্যোগ নিয়েছি। তাতে ২০১৭ সালে এই সংকট থাকবে না। শিক্ষার্থীদের গাছতলায় বসে ক্লাস করতে হবে না। তখন ফল আরো ভালো হবে। ’
অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়নের ব্যাপারে মন্ত্রী বলেন, ‘২০১০ সালের শিক্ষানীতির আলোকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ছেড়ে দিতে চান। এ জন্য আমরাও নানা উদ্যোগ নিয়েছি। তবে কেবিনেট থেকে যেদিন এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে সেদিনই আমরা দায়িত্ব নেব। তাই পিইসি পরীক্ষার ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত কেবিনেট থেকেই আসতে হবে। ’
৫৫ বিদ্যালয় ও ২৬ মাদ্রাসা থেকে একজনও পাস করেনি : এবার পিইসিতে ৫৫টি বিদ্যালয় থেকে একজনও পাস করতে পারেনি। এ ছাড়া ১৮৮টি বিদ্যালয় থেকে পরীক্ষায় কেউ অংশ নেয়নি। এ ছাড়া এক লাখ এক হাজার ১৫০টি বিদ্যালয়ের মধ্যে ৮৫ হাজার ১১২টি থেকে শতভাগ পাস করেছে। তবে গত বছরের তুলনায় শতভাগ পাস বিদ্যালয়ের সংখ্যা বেড়েছে দুই হাজার ৪৫২, আর শতভাগ ফেল করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা কমেছে ৬৭। অন্যদিকে ইবতেদায়ি পরীক্ষায় ২৬টি মাদ্রাসা থেকে একজনও পাস করেনি। উপস্থিতি শূন্য ছিল ২২৩টি মাদ্রাসায়। ১২ হাজার ৬০টি মাদ্রাসার মধ্যে আট হাজার ৫৬৭টি মাদ্রাসার সবাই পাস করেছে। গত বছর শতভাগ ফেল করা মাদ্রাসার সংখ্যা ছিল ৪২ আর সবাই পাস করেছিল সাত হাজার ৭৯১ প্রতিষ্ঠানে।
পিইসিতে পাসের হারে সাত বিভাগে বরিশাল শীর্ষে : পিইসিতে পাসের হার বিবেচনায় সাত বিভাগের মধ্যে বরিশাল শীর্ষে রয়েছে। তাদের পাসের হার ৯৯.০৯ শতাংশ। আর ৬৪ জেলার মধ্যে মুন্সীগঞ্জ প্রথম স্থান অধিকার করেছে। তাদের পাসের হার ৯৯.৯২ শতাংশ। আর ৫০৮ উপজেলার মধ্যে ১৭টি উপজেলায় শতভাগ পাস করেছে। আর সিলেট বিভাগে পাসের হার সর্বনিম্ন ৯৭.২৫ শতাংশ। সুনামগঞ্জ জেলায় পাসের হার সর্বনিম্ন ৯৫.৯১ শতাংশ ও বান্দরবনের রুমা উপজেলায় সর্বনিম্ন ৮৪.৬২ শতাংশ পাস করেছে। সারা দেশে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন চার হাজার ৩৩২ জন অংশ নিয়ে পাস করেছে চার হাজার ১৬৫ জন। তাদের পাসের হার ৯৬.১৪ শতাংশ।
ইবতেদায়িতে শীর্ষে রাজশাহী : অন্যদিকে ইবতেদায়ির ফলে শীর্ষে রয়েছে রাজশাহী বিভাগ। তাদের পাসের হার ৯৮.০৩ শতাংশ। লালমনিরহাট জেলায় পাসের হার সর্বোচ্চ। তাদের পাসের হার ৯৯.৮৮ শতাংশ। আর ১০৫টি উপজেলায় পাসের হার শতভাগ। সিলেট বিভাগে সবচেয়ে কম ৯২.০৪ শতাংশ পাস করেছে। হবিগঞ্জ জেলায় পাসের হার সর্বনিম্ন ৮৭.০৬ শতাংশ। বরিশালের হিজলা উপজেলায় সর্বনিম্ন পাসের হার ৭০.২৮ শতাংশ। মাদ্রাসা থেকে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ২০৯ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাস করেছে ১৯৮ জন।
পিইসিতে প্রতিটি বিষয়েই ভালো ফল : বিষয়ভিত্তিক ফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, এবার পিইসিতে শিক্ষার্থীরা প্রায় প্রতিটি বিষয়েই ভালো করেছে। পাসের হার বাংলায় ৯৯.৭১ শতাংশ, ইংরেজিতে ৯৯.২৭, গণিতে ৯৯.৩৩, বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়ে ৯৯.৭৯, প্রাথমিক বিজ্ঞানে ৯৯.৭৯ এবং ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষায় ৯৯.৯২ শতাংশ।
১০.১১ শতাংশ জিপিএ ৫ : পিইসিতে মোট শিক্ষার্থীর ১০.১১ শতাংশ জিপিএ ৫ পেয়েছে। জিপিএ ৪ থেকে ৫ এর মধ্যে রয়েছে ২৭.২৮ শতাংশ শিক্ষার্থী। ইবতেদায়িতে জিপিএ ৫ পেয়েছে ২.৪১ শতাংশ শিক্ষার্থী। তবে ৩.৫ থেকে ৫ এর মধ্যে রয়েছে ৪০.৪০ শতাংশ।
পিইসির বিভাগওয়ারি ফলে দেখা গেছে, পাসের হার বরিশালে ৯৯.০৯, রাজশাহীতে ৯৮.৫৭, খুলনায় ৯৮.৬৪, ঢাকায় ৯৮.৫৪, চট্টগ্রামে ৯৮.৭৫, সিলেটে ৯৭.২৫ ও রংপুর বিভাগে ৯৮.৩৪ শতাংশ।
অভিযোগ রয়েছে, কোনোরকমে লিখলেই প্রাথমিকের শিশুদের পূর্ণাঙ্গ নম্বর দেওয়া হয়। আর উদারভাবে নম্বর দেওয়ার ফলেই পাসের হার এবং জিপিএ ৫ বাড়ছে। এতে শিশুরা তেমনভাবে না শিখেই ওপরের ক্লাসে উঠছে।
এ ব্যাপারে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী গতকাল বলেন, ‘উদার নম্বর বা শতভাগ পাস করানোর ব্যাপারে আমাদের কোনো নির্দেশনা নেই। একজন শিক্ষার্থী যে নম্বর পাবে, তাকে সেটাই দিতে বলা হয়। ’