নতুন বছরের প্রথম দিনে জাতিসংঘ মহাসচিবের দায়িত্ব নিলেন অ্যান্থোনিও গুতেরেস। দায়িত্ব নিয়ে আহ্বান জানিয়েছেন সর্বক্ষেত্রে শান্তিকে অগ্রাধিকার দেয়ার। প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, সেতুবন্ধন রচনা করার। কিন্তু শিগগিরই তাকে মুখোমুখি হতে হবে এক বৈরী মার্কিন প্রশাসনের, যার নেতৃত্বে থাকবেন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রামপ। ট্রামপ মনে করেন, ১৯৩ সদস্যবিশিষ্ট এ বিশ্বসংস্থা কোনো কাজের নয়। শুধু লোকজন এখানে আসে কথা বলতে আর ভালো সময় পার করতে। বার্তাসংস্থা এপি’র রিপোর্টে বলা হয়, পর্তুগালের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার সাবেক প্রধান গুতেরেস ১২ই ডিসেম্বর জাতিসংঘের মহাসচিব হিসেবে শপথ নেন। তার পূর্বসূরি বান-কি মুন ছিলেন দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী। গুতেরেস প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, আমেরিকার পরবর্তী সরকার সহ সকল সরকারের সঙ্গে তিনি সমপর্ক তৈরি করবেন। কিন্তু গুতেরেস যে বহু সংস্কৃতিবাদকে জাতিসংঘের ভিত্তি হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন, তার প্রতি আগামী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রামেপর আগ্রহ খুব কম। তিনি বরং ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতিতে বিশ্বাসী। নিজের পাঁচ বছর মেয়াদ শুরু করার পর গুতেরেসের সামনে এখন সিরিয়া, ইয়েমেন থেকে শুরু করে দক্ষিণ সুদান আর লিবিয়ার চলমান সংকট। সন্ত্রাসবাদ থেকে জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বৈশ্বিক সংকটের সম্মুখীন তিনি। অপরদিকে জাতিসংঘের প্রতি আমেরিকার সমর্থনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে একটি প্রশ্নবোধক চিহ্ন। আর বিষয়টি চ্যালেঞ্জিং। কারণ, যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ভেটো ক্ষমতাধারী রাষ্ট্র। পাশাপাশি জাতিসংঘের নিয়মিত বাজেটের ২২ শতাংশ ও শান্তিরক্ষা বাজেটের ২৫ শতাংশের জোগানদাতা যুক্তরাষ্ট্র।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.