বছরজুড়ে বিশ্ব ফ্যাশনে নানা ধরনের পোশাক দেখা গেছে। বিনোদন, খেলাধুলা থেকে রাজনীতির মাঠ কাঁপিয়েছেন—এমন নারী তারকাদের মধ্য থেকে ব্রিটিশ ভোগ অনলাইন ১০ জনকে বেছে নিয়ে একটি তালিকা তৈরি করেছে। যাঁদের পোশাক ও রুচিশীল ফ্যাশন নিয়ে চর্চা চলেছে সারা বছর।
গিগি হাদিদ
এই তালিকার প্রথম নামটাই আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মডেল গিগি হাদিদের। বছরের শুরুতেই তিনি শোরগোল ফেলে দেন ভোগের প্রচ্ছদকন্যা হিসেবে নাম লিখিয়ে। এরপর টমি হিলফিগারের সঙ্গে যুক্ত হয়ে নিজের ফ্যাশন সেন্সকে নিয়ে গেছেন নতুন জায়গায়। ভার্সাচি, রবার্তো কাবাল্লির মতো বিখ্যাত ব্র্যান্ডের পোশাক পরেছেন। লালগালিচায় অন্যতম আকর্ষণ ছিলেন এই সুপার মডেল। লালগালিচায় তাঁর সাদা পোশাকের দ্যুতি নিয়ে কম আলোচনা হয়নি।
কেট মিডলটন
২০১৬ সালে স্টাইলিশদের তালিকায় তুমুল আলোচনায় ছিলেন ব্রিটিশ রাজবধূ কেট মিডলটন। সেপ্টেম্বর মাসে কানাডায় এক অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে পরেছিলেন লাল টুকটুকে চওড়া গলার পোশাক। আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছিল সেটি। স্লিম ফিটের এই পোশাকটির সঙ্গে কেট বেছে নিয়েছিলেন একটি বিশেষ ব্রোচ। বছরের মাঝামাঝি সময়ে ভোগের শততম সংখ্যার প্রচ্ছদকন্যা হিসেবে অংশ নেন ফটোশুটে। যেখানে তিনি ধরা দেন একজন সাধারণ নারী হিসেবে। নিয়মিত রাজকীয় পোশাকের বাইরেও জিনস, টি-শার্ট এবং সাধারণ শার্ট পরে ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। ফটোশুটের বাইরেও ভোগ (ব্রিটিশ) ম্যাগাজিনের সম্পাদকের সঙ্গে আলোচনায় উঠে আসে তাঁর জীবনযাপনের নানা দিক।
মিশেল ওবামা
মার্কিন ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামার ফ্যাশন সেন্স নিয়ে নতুন করে আলোচনার কিছু নেই। তবে পুরো বছরের সবচেয়ে বড় চমকটা তিনি দেখিয়েছেন ডিসেম্বরে এসে। ইতালির রাষ্ট্রীয় ডিনারে ঝলমলে গাউনে মিশেল তাঁর পোশাক নির্বাচনের ক্ষমতা আবারও মোটা দাগে বুঝিয়ে দিয়েছেন।
থেরেসা মে
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে তাঁর পোশাক নিয়ে শুরু থেকেই আলোচনায়। রাজনীতি থেকে পার্টি—সবখানেই তিনি ছিলেন উজ্জ্বল পোশাকে ঝলমলে। বিখ্যাত ১০ নম্বর ডাউন স্ট্রিটের বাসিন্দা হওয়ার পর থেকে রাজনৈতিক নানা ধরনের বার্তা তাঁর পোশাকে শোভা পাচ্ছে। হাঁটু পর্যন্ত লম্বা ঝুলের পোশাকগুলোতে একটা বিশেষ ছাপ ফেলেছেন থেরেসা। তাঁর রাজনৈতিক জীবন নিয়ে সমালোচনায় মুখর ছিল অনেকেই। তবে পোশাকের বেলায় তাঁর রুচির প্রশংসা করেছেন প্রায় সবাই।
এমা স্টোন
বড় বড় অনুষ্ঠানের রেড কার্পেটে এমা স্টোন বাজি ধরেছেন অবলীলায়। তবে তাঁর পোশাক নির্বাচন থেকে পরার কৌশল—সবকিছুতেই সহজে উতরে গেছেন সেসব বাজিতে। খুব কম মানুষই আছে, যারা বড় বড় অনুষ্ঠানে নানা শেডের হলুদ পোশাক বা মাঝ বরাবর কাটা পোশাক সামলাতে পারেন। এমা সেই অল্প মানুষের দলে। এর সঙ্গে ছিল মুখের প্রাণবন্ত হাসিটাও।
রিয়ান্না
পপ তারকাদের স্টাইল নিয়ে আলোচনা করবেন, অথচ রিয়ান্নার নাম থাকবে না, তা হয় না। প্রাচীন স্থাপত্যের নকশায় শার্ট থেকে গুচির স্পেশাল ট্রাকস্যুটের মতো নানা ধরনের পোশাক আছে রিয়ান্নার ব্যক্তিগত সংগ্রহে। ২৮ বছরের এই তারকা এরই মধ্যে নিজের একটা স্টাইল লাইনআপ তৈরি করে ফেলেছেন।
মারগট রবি
কথায় আছে ‘পুরান চাল ভাতে বাড়ে’। আর ‘পুরান’ পোশাক? কখনো কখনো টপকে যায় চলতি পোশাককেও। সেটাই প্রমাণ করলেন মারগট রবি। অস্ট্রেলিয়ান এই অভিনেত্রী সম্প্রতি বিয়ে করেছেন। আর নিজের বিয়েতে তিনি পরেছিলেন মায়ের বিয়ের গাউন। সেরাদের তালিকায় তাঁর স্থান পাওয়ার অন্যতম কারণ হলো, যেকোনো আয়োজনে যেকোনো ধরনের পোশাকই আনন্দের সঙ্গে পরেন তিনি।
অ্যালিসিয়া ভিকান্দর
সুইডিস সুন্দরী ভিকান্দর বছরজুড়ে ফ্যাশন করেছেন কোনো ধরনের ভুলভ্রান্তি ছাড়া। এর অবশ্য একটা কারণও আছে, অধিকাংশ সময়ে লুই ভুটনের কাস্টমাইজড পোশাকের ওপর আস্থা রেখেছেন তিনি। তবে ২০১৬ সালে রোজেট্টা গেটি, বারবারা কাসাসোলার মতো জনপ্রিয় ফ্যাশন লেভেলের পোশাকও গায়ে চড়িয়েছেন। ভোগের আগস্ট সংখ্যার প্রচ্ছদ প্রতিবেদনে এই তারকার সংগ্রহ নিয়ে বিশেষ ফটোশুটকে তাই মোটেও বাড়াবাড়ি বলা যাচ্ছে না। এ বছর তাঁর একাডেমি অ্যাওয়ার্ড জেতা ও রেড কার্পেটে তাঁর পোশাক দুটিই ছিল সমান আলোচিত।
ফেলিসিটি জোনস
ছোটবেলা থেকেই জোনসের সঙ্গে তারকা শব্দটা সেঁটে গেছে। দিনবদলের সঙ্গে সঙ্গে হয়েছেন আরও পরিণত। তাঁর অভিনয় বা পোশাক—দুটি নিয়েই সমালোচনা কম। বরং ২০১৬ সালের সেরা পার্টি গার্ল হিসেবে কোনো পুরস্কার থাকলে সেটা তাঁকেই দেওয়া হতো। সম্প্রতি তাঁর গায়ে চড়ানো পোশাকগুলো অন্যদের চোখ কপালে তুলে দিয়েছে। পোশাকে তাঁর সেরা ঝলক সম্ভবত দিওরের স্প্রিং/সামার গাউনটি। এ ছাড়া বিভিন্ন সময়ে তাঁর টাক্সিডো, শার্ট ড্রেসও ছিল আলোচনায়।
এমিলি ব্লন্ট
বড় পর্দায় ‘দ্য গার্ল অন দ্য ট্রেন’ সিনেমায় তো নজর কেড়েছেনই, কম যাননি অফ স্ক্রিনে। সব মিলিয়ে হলিউডে এক নতুন সময়ের সূচনা হতে যাচ্ছে এই অভিনেত্রীর হাত ধরে। এসব কারণেই তিনি হয়েছেন ভোগের নভেম্বর সংখ্যার প্রচ্ছদ।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.