ব্রেক্সিট নিয়ে এ মাসেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে বৃটেনের সুপ্রিম কোর্ট। যদি তাতে হাইকোর্টের রায়ই বহাল রাখা হয় তাহলে গভীর এক সংকটে পড়তে পারে বৃটেন। এর আগে হাইকোর্ট রায়ে বলেছে, ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া শুরু করতে পার্লামেন্টের অনুমোদন লাগবে। এ সংক্রান্ত লিসবন চুক্তির ৫০ নম্বর অনুচ্ছেদ পার্লামেন্টে ভোটে না দিয়ে সক্রিয় করা যাবে না। এ রায়ের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে’র সরকার আপিল করে। সেই আপিলের শুনানি সুপ্রিম কোর্টে শুরু হয় গত ৫ই ডিসেম্বর। ৪ কার্যদিবসে শুনানি শেষ হয়। এরপরই এ মাসের শুরুতে সুপ্রিম কোর্টের চূড়ান্ত রায় দেয়ার কথা। সুপ্রিম কোর্টের মোট ১১ জন বিচারক এ নিয়ে শুনানি করেছেন। তারা যদি হাইকোর্টের রায়ই বহাল রাখেন তাহলে পার্লামেন্টে ব্রেক্সিট ভোট দিতেই হবে তেরেসা মে’কে। যদি তা-ই হয় তাহলে সরকারের জন্য কপালে ভাঁজ পড়ার কথা। কারণ, সরকারি দল ও বিরোধী দলের অনেক নেতা ব্রেক্সিটের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন বলে এরই মধ্যে বৃটিশ মিডিয়ায় খবর এসেছে। বলা হয়েছে, নিজের দল কনজারভেটিভ পার্টিতে বিদ্রোহের মুখে আছেন তেরেসা মে। ফলে পার্লামেন্টে ব্রেক্সিট ভোট দেয়া হলে তার শেষ পরিণতি কি হবে তা বলা মুশকিল। এ অবস্থায় অনেক বৃটিশ বলছেন, যদি ব্রেক্সিট সম্পন্ন না হয় তাহলে ‘গৃহযুদ্ধ’ হতে পারে বৃটেনে। এসব কথা বলা হয়েছে অনলাইন স্কাই নিউজের এক প্রতিবেদনে। এতে ব্রেক্সিটের পক্ষে কঠোর অবস্থানে থাকা লিজ পুহ নামে একজনের মন্তব্য উদ্ধৃত করা হয়েছে। তার বাস ল্যাঙ্কাশায়ার শহরে। এখানে বসবাসকারীদের মধ্যে শতকরা ৬৭ ভাগই ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছাড়ার পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন। ভালো কিছু ঘটবে তার জন্য অপেক্ষা করছে এসব মানুষ। তার ভাষায় এটা যেন এক ‘স্লিপিং জায়ান্ট’ অর্থাৎ ঘুমন্ত এক বিশালকায়। আমি মনে করি এ ঘটনা অসংখ্য মানুষকে জাগিয়ে দিতে পারে। যদি ব্রেক্সিট কাজে না আসে বা ব্রেক্সিট না ঘটে তাহলে কি হবে? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছেন, তাহলে ব্যাপক দাঙ্গা দেখা দেবে। দেখা দেবে হিস্টিরিয়া। এমনকি দেখা দিতে পারে গৃহযুদ্ধ। দেশবাসী তাদের অবস্থান জানিয়ে দিয়েছেন। সরকার যদি সে মতো কাজ করতে ব্যর্থ হয় বা অবজ্ঞা করে তাহলে দেখা দেবে গৃহযুদ্ধ।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.