২০০৮ সালের কথা। কয়েক মাস আগেই ভারতকে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের শিরোপা এনে দিয়েছিলেন বিরাট কোহলি। ছিলেন টুর্নামেন্টের তৃতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। বিজয় হাজারে ট্রফি ও দেওধর ট্রফিতেও দেখিয়েছিলেন ভালো নৈপুণ্য। এরপর হুট করেই ডাক পেয়ে যান ভারতের জাতীয় দলে। শোনা যায়, কোহলিকে দলে নেওয়ার জন্য সুপারিশ করেছিলেন শচীন টেন্ডুলকার ও মহেন্দ্র সিং ধোনি।
২০০৮ সালেই ধোনি-টেন্ডুলকারদের সঙ্গে শ্রীলঙ্কায় উড়াল দিয়েছিলেন কোহলি। সফরে খুব একটা ভালো করতে পারেননি তবে তাকে পাঁচটি ম্যাচেই মাঠে নামান ধোনি। ইংল্যান্ড সিরিজের দলে না থাকলেও এরপর আবার তাঁর ডাক পড়ে ২০০৯ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দলে। তার পর থেকে ভারতীয় দলের অবিচ্ছেদ্য অংশে পরিণত হন এ সময়ের অন্যতম সেরা এই ব্যাটসম্যান। ধোনির অধিনায়কেত্বই পরিপক্ব হয়ে উঠেছেন। পরে তাঁর কাছ থেকেই ভারতের টেস্ট দলের দায়িত্ব নিজের কাঁধে নিয়েছেন। এবার হয়তো পূর্বসূরির কাছ থেকে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দলের দায়িত্বটাও বুঝে নেবেন কোহলি।
ধোনি পাকাপাকিভাবে অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেওয়ার পর অনেকে অনেক মন্তব্য করলেও চুপ ছিলেন কোহলি। অবশেষে মুখ খুললেন ভারতীয় টেস্ট দলের অধিনায়ক। টুইটারে ধোনিকে ধন্যবাদ জানিয়ে কোহলি বলেন, ‘তরুণদের পাশে থাকার জন্য তোমাকে ধন্যবাদ। তুমি সব সময় আমার অধিনায়ক হয়েই থাকবে।’ গত বুধবার ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে ধোনি জানিয়ে দেন, সীমিত ওভারের ক্রিকেটে দলকে আর নেতৃত্ব দেবেন না তিনি।
১৯৯টি ওয়ানডে ম্যাচে ভারতকে নেতৃত্ব দেন ধোনি যাতে ১১০ ম্যাচে জয় পায় ভারত। এ ছাড়া ভারত তারই নেতৃত্বে ২০০৭ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, ২০১১ ওয়ানডে বিশ্বকাপ ও ২০১৩ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিও জেতে ভারত।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.