টিভি নাটকের সঙ্গে দীর্ঘদিনের পথচলা মাজনুন মিজানের। একই সঙ্গে কাজ করছেন চলচ্চিত্রেও। কিছুদিন আগেই ফখরুল আরেফিনের পরিচালনায় ‘ভুবন মাঝি’ ছবির শুটিং-ডাবিং সহ অন্য সব কাজ শেষ করেছেন এ অভিনেতা। শুধু তাই নয়, এরই মধ্যে প্রচার-প্রচারণার কাজও শুরু হয়েছে বলে জানান তিনি। দেশে ও দেশের বাইরে কলকাতায় শুটিং হওয়া ‘ভুবন মাঝি’ ছবির কাজের অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটি ভিন্ন রকম এক অভিজ্ঞতা। দারুণ একটি গল্প নিয়ে নির্মাণ হয়েছে ছবিটি। শুটিং সেটে অনেক মজার মজার ঘটনা ঘটেছে যা সবসময় স্মৃতি হিসেবে রয়ে যাবে। আর সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে কলকাতার জনপ্রিয় অভিনেতা পরমব্রতর সঙ্গে কাজ করে। সে অভিনেতা হিসেবে চমৎকার সেটা সবারই জানা। সেসঙ্গে মানুষ হিসেবেও দারুণ। একসঙ্গে কাজ করতে গিয়ে অসাধারণ কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছি। সবমিলিয়ে বলবো এ ধরনের একটি ছবিতে কাজ করতে গিয়ে খুবই ভালো লেগেছে। আর দর্শকের জন্য ভালো একটি গল্প অপেক্ষা করছে বলেই আমি মনে করি। শুধু তাই নয়, ‘ভুবন মাঝি’ একটি ভালোবাসার নাম। একটি আন্দোলনের নাম। দেশকে ভালোবাসার যে জায়গাটা রয়েছে সেটা নতুন করে রিকল করবো এ ছবির মধ্য দিয়ে। আগামী মার্চেই মাজনুন মিজানের নতুন এই ছবিটি মুক্তির কথা রয়েছে। এ নিয়ে জোর প্রচারণা শুরু হয়েছে আগেই। তবে আগামী ফেব্রুয়ারি থেকে ‘ভুবন মাঝি’ ঘুরবে দেশ-বিদেশে। ছবির প্রচারণায় পুরো টিম যাচ্ছে প্যারিসে। মাজনুন মিজান বলেন, মার্চেই মুক্তি পাচ্ছে। তার আগে ছবির ক্যাম্পেইনের জন্য ফ্রান্স যাচ্ছি। কারণ ছবিটি পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে মুক্তির কথা রয়েছে। খুব সম্ভবত ফ্রান্স, আমেরিকা, ভারত ও মধ্যপ্রাচ্যোর কয়েকটি দেশে মুক্তি পাবে ‘ভুবন মাঝি’। এ জন্যই আমাদের দেশের বাইরে গিয়ে প্রচারণার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এদিকে বর্তমানে বিভিন্ন চ্যানেলে মাজনুন মিজান অভিনীত বেশকিছু ধারাবাহিক নাটক প্রচার চলছে। এর মধ্যে রয়েছে বাংলাভিশনে অঞ্জন আইচের পরিচালনায় ‘মেঘের পরে মেঘ জমেছে’, বিটিভিতে মোস্তফা কামালের ‘নীল জোৎ¯œা’, এনটিভিতে এজাজ মুন্নার ‘আস্থা’ সহ আরো কয়েকটি। পাশাপাশি ‘গুগল ভাই সব জানে’ ও ‘ছোট বউ’ নামের নতুন দুটি ধারাবাহিকের শুটিংও করছেন মাজনুন মিজান। এছাড়া খন্ড নাটকের কাজও নিয়মিত করছেন এ অভিনেতা। সম্প্রতি কক্সবাজার থেকে লিটু করিমের রচনা ও পরিচালনায় ‘উল্টো পথে উল্টো রথে’ নামের একটি নাটকের শুটিং শেষ করে ঢাকায় ফিরেছেন তিনি। পাশাপাশি লেনিন হায়দারের ‘প্রাপ্তি’ নাটকেও অভিনয় করেছেন। বর্তমান সময়ের নাটকের মান নিয়ে অনেক শিল্পীই অনেক কথা বলেন। এ ব্যাপারে মাজনুন মিজান বলেন, নাটকের মান ভালো। এখন আগের চাইতে অনেক উন্নত হয়েছে। বিশেষত প্রযুক্তির কল্যাণে নাটক এগিয়ে যাচ্ছে। তবে এখন চ্যানেল সংখ্যা অনেক বেশি। আর সে অনুযায়ী নাটকও নির্মাণ হচ্ছে অনেক। তাই বেশি কাজ হলে খারাপ ভালো দুটিই থাকবে। তবে খারাপের সংখ্যাটা কম। তিনি আরও বলেন, অধিক বিজ্ঞাপন প্রচার হচ্ছে বলে নাটকের মান ঠিক রাখা যাচ্ছে না। নাটক প্রচারকালীন চ্যানেলগুলো এত বেশি বিজ্ঞাপন প্রচার করে যার ফলে অসহ্য হয়ে দর্শক দেশীয় চ্যানেল থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন। এটা অনেক দিনের সমস্যা। হ্যাঁ, বিজ্ঞাপন না হলে টিভি চ্যানেল বন্ধ হয়ে যাবে এ কথাও সত্যি। এ সমস্যার সমাধান কি হওয়া উচিৎ সেটা নিয়ে অনেকে ভাবছেন। কিন্তু সমাধান হচ্ছে না। তবে আমি যতটুকু মনে করি, এখানে চ্যানেল কর্তৃপক্ষ, বিজ্ঞাপনী সংস্থা ও সরকারের প্রত্যক্ষ হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। আর এটা হলে টিভি নাটকে দর্শক ফেরানো সম্ভব বলে আমি মনে করি।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.