নিউজিল্যান্ড সিরিজে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টির পর দুটি টেস্টেও ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশ দল। টেস্ট সিরিজে দলগতভাবে বাংলাদেশ সাফল্য না পেলেও, কিছু ক্রিকেটারের পারফরম্যান্স ছিল চোখে পড়ার মতো। বিশেষ করে ওয়েলিংটন টেস্টে সাকিবের ডাবল সেঞ্চুরি দলের অন্যতম সেরা ব্যক্তিগত সাফল্য।
এই অসাধারণ পারফরম্যান্সের সুবাদে টেস্ট ব্যাটসম্যানদের বিভাগে র্যাংকিংয়ে ক্যারিয়ার সেরা উন্নতি হয়েছিল সাকিবের। আট ধাপ এগিয়ে এক লাফে ২৩তম স্থানে উঠে এসেছিলেন তিনি। দ্বিতীয় টেস্টেও সাকিবের পাফরফরম্যান্স খুব একটা খারাপ ছিল না। দুই ইনিংসে ৫৯ ও ৮ রান করে, র্যাংকিংয়ে নিজেকে ছাড়িয়ে গেছেন তিনি। ব্যাটিং র্যাংকিংয়ে তিনি এগিয়েছেন আরো এক ধাপ।
টেস্ট বোলারদের র্যাংকিংয়েও সাকিব এগিয়েছেন এক ধাপ। শেষ টেস্টের প্রথম ইনিংসে চার উইকেট নিয়ে উঠে এসেছেন ১৪ নম্বরে।
টেস্ট ব্যাটিং র্যাংকিংয়ে এগিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। চার ধাপ এগিয়ে উঠেছেন ৫০ নম্বরে। যদিও ক্রাইস্টচার্চে শেষ টেস্টে তাঁর পারফরম্যান্স খুব একটা ভালো ছিল না, দুই ইনিংসে ১৯ ও ৩৮ রান করেন তিনি।
সাকিবের র্যাংকিংয়ে উন্নতি হলেও নিউজিল্যান্ড সিরিজ শেষে বাংলাদেশের টেস্ট রেটিং পয়েন্ট কমেছে। সিরিজ শুরুর আগে পয়েন্ট ছিল ৬৫, এখন তা হয়েছে ৬২। পয়েন্ট কমলেও নবম স্থানেই আছে র্যাংকিং। বাংলাদেশের ওপরে থাকা ওয়েস্ট ইন্ডিজের পয়েন্ট ৬৯। আর মাত্র ৫ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে তলানিতে আছে জিম্বাবুয়ে।
টেস্ট র্যাংকিংয়ে নবম স্থানে থাকলেও ওয়ানডেতে বাংলাদেশের অবস্থান সপ্তম, পাকিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের ওপরে। এ দুটি ম্যাচ জিতে দুই রেটিং পয়েন্ট পেয়ে নিউজিল্যান্ডের রেটিং বেড়ে হয়েছে ৯৮। র্যাংকিংয়েও ওপরে উঠেছে তারা, পাঁচ নম্বরে। ৯৭ পয়েন্ট নিয়ে পাকিস্তান ছয় নম্বরে নেমেছে। তাদের ঠিক পেছনেই আছে শ্রীলঙ্কা (৯৬)।
টেস্টে ১২০ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে ভারত। তাদের পরই অস্ট্রেলিয়া (১০৯) ও দক্ষিণ আফ্রিকার (১০৭) অবস্থান। আর চার নম্বরে ইংল্যান্ড (১০১)।