গাছ-গাছরা দিয়ে তৈরী করা ওষুধ খেয়ে স্থায়ীভাবে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে চলে আসার দাবি করেছেন কবিরাজ ও রোগীরা।এতে করে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের এ ওষুধ খাওয়ার প্রবনতা বাড়ছে। স্থায়ীভাবে ডায়াবেটিস রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে টাঙ্গাইলের মাসুদ মিয়ার কাগমারী কলেজ মোড়স্থ বাড়িতে দুরদুরান্ত থেকে ডায়াবেটিস রোগীরা ভীড় করছেন।
সরেজমিনে মাসুদ মিয়ার বাড়িতে গিয়ে ডায়াবেটিস রোগীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, সিরাজগঞ্জের সাহেবপাড়া গ্রামের বীরমুক্তিযোদ্ধা বাহাদুর মিয়ার স্ত্রী জয়গন, তার বয়স বর্তমানে ৭০এর অধিক। সে জানায়, তার বয়স যখন ৩৫/৪০ বছর তখন থেকেই তার ডায়াবেটিস রোগ হয়েছে বলে সে জানতে পারেন। প্রথমেই ২৭/২৮ পর্যন্ত ডায়াবেটিস থাকতো। সব সময় মাথা ঘুরানো সহ শরীর অসুস্থ্য থাকতো। কোন প্রকার কাজ কর্ম তার ভাল লাগতো না তার। অনেক চিকিৎসা সেবা এমনকি ইন্সুলেন্সও নিয়েছেন তিনি। অনেক বছর ধরে কত চিকিৎসা করেও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে রাখতে পারছিলেন না। পরে তিনি জানতে পারলেন টাঙ্গাইলের মাসুদ মিয়ার গাছ-গাছরা দিয়ে তৈরী ওষুধের কথা। এর পর তিনি ছেলেকে নিয়ে চলে আসেন এবং এখান থেকে ওষুধ নিয়ে খেতে থাকেন। প্রথমবার ২১দিনের এক কোর্স ফাইল খাওয়ার পরপরই তার শরীর অনেকটা সুস্থ্যবোধ করেন। পরে একে একে ৪টি ফাইল খাওয়ার পর তিনি অনেকটাই সুস্থ্য। বর্তমানে তার ডায়াবেটিস নেমে ৬/ ৭ এ চলে এসেছে। তিনি আরো জাননা, এটি স্থায়ীভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখতে কবিরাজ বলেছেন ৫ম ফাইলটি খেতে হবে। তাই ৫ম ফাইলের জন্যই আমি এসেছি। এখন আমি সাংসারিক সকল প্রকার কাজ কর্ম করতে পারি এবং হাটা চলা ফেরা করতে পারছি। নোয়াখালীর মহতাপুর গ্রামের শফিউল্লাহ জানান, তার বয়স ৬৫ এর উপরে। আমার ডায়াবেটিস হওয়ার পর থেকেই শরীর আস্তে আস্তে নিস্তেজ হতে থাকে। আমার শরীরে বল পাইনা। আমার একটি চোখ নষ্ট হয়ে যায়। অনেক চিকিৎসা সেবা নেয়ার পরও সুস্থ্য হইনি। বর্তমানে আমি টাঙ্গাইলের কবিরাজ মাসুদ মিয়ার তৈরী করা ওষুধ খেয়ে পুরোপুরি সুস্থ্য হয়ে উঠেছি। বর্তমানে আমার ডায়াবেটিস মাপার পর ৫-৬ এ নেমে এসেছে। কথা হয়, গোপালগঞ্জ জেলার পাটকেলবাড়ি গ্রামের বিনোদ রায়ের ছেলে স্বপন রায়ের সাথে। তার ডায়াবেটিস হওয়ার পর ঢাকা বারডেম হাসপাতালেসহ বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা সেবা নিয়েছেন। পরে টাঙ্গাইল থেকে কবিরাজে গাছ-গাছরার তৈরী করা ওষুধ খেয়ে ৮৪ দিনেই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে। এছাড়াও কথা হয়, চাঁদপুরের ফখরুল ইসলামের স্ত্রী নাজমুন নাহার, ঢাকা ব্যবসায়ী ইসমাইল হোসেন ও ভোলার শফি উদ্দিনসহ বেশ কয়েকজন ডায়াবেটিস রোগীর সাথে। তারা জানান, ডায়াবেটিস একটি নিরব ঘাতক রোগ। শরীরে বাসা বেধেঁ ধীরে ধীরে শরীরকে অসুস্থ্য করে তুলে। এবং শরীরের কাটা ছেড়া ও ফুড়া উঠলে তা সেরে উঠতে চায় না। এ রোগ চিরজীবনের জন্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে মাসুদ মিয়ার ওষুধ খেয়ে এখন আমরা ভাল ও সুস্থ্য আছি। কবিরাজ মাসুদ মিয়া জানান, তার রোগী মিরপুরের সার্জেন্ট বরকত আলী, ঢাকার কাওরান বাজার এলাকার মো. মনির হোসেন, টাঙ্গাইল পার্ক বাজার এলাকার তোজাম্মেল হক (০১৭১৬৩১৯৪৪৯), ভাল্লুক কান্দি গ্রামের সুজন মিয়া (০১৮৫১৬৬৪৮৪৮), আলেয়া বেগম, ও মানিকগঞ্জের আব্দুল হামিদ মিয়া ও তার স্ত্রী চিকিৎসা সেবা নিয়ে সুস্থ্য জীবন যাপন করছেন।
মাসুদ মিয়া (মোবাইল নং ০১৮৪৯১৩৮৫৫৮)জানান, বিভিন্ন প্রকার ওষুধী গাছ-গাছরা দিয়ে তৈরী করা বড়ি, ফাঁকি ওষুধ ও সরবত আকারে ২১দিনের কোর্স করে একটি ফাইল দেয়া হয়। ২১দিন পরপর ৫ ফাইল ওষুধ সেবন করলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। আর এই নিয়ন্ত্রণ চিরজীবন ধরে রাখতে শুধু পানির সাথে মধু মিশিয়ে খেতে হবে। এতেই স্থায়ীভাবে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে থাকবে। তিনি জানান, ওষুধী গাছ-গাছরা চাহিদা অনুযায়ী সংগ্রহ করতে না পারায় কাক্ষিত রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতে পারছি না। তবে ওষুধী গাছ-গাছরার চাষ করতে পারলে সকল ডায়াবেটিস রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেয়া সম্ভব হত।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.